বান্দরবানের লামায় বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে “শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিসহ সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেডে বেতন নির্ধারন করার
দাবী আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ০১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) লামা উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন করে শিক্ষকরা লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এঁর মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়,
‘পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান, বেতন গ্রেড দশম। নার্সদের নিয়োগ পদে যোগ্যতা: এইচএসসি (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং), বেতন গ্রেড ১০ম। উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে নিয়োগ যোগ্যতা: এসএসসি (৪ বছর কৃষি ডিপ্লোমা), বেতন গ্রেড ১০ম। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব পদে নিয়োগ যোগ্যতা। আগে ছিল এইচএসসি বর্তমানে স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম (প্রস্তাবিত)। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ যোগ্যতা স্নাতক সমমান, বেতন গ্রেড ১০ম ও ৯ম। এছাড়া একই ক্যারিকুলাম, একই সিলেবাস ও একই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ যোগ্যতা: স্নাতক (দ্বিতীয় শ্রেণি), দেড় বছরের ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড), বেতন গ্রেড ১০ম’।
স্মারকলিপিতে প্রধান উপদেষ্টার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন কামনা করে আরো উল্লেখ করেন ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনের স্বপ্নদর্শনে উদ্বুদ্ধ করেন। পড়াশোনা শেষ করে মহৎ পেশায় নতুন নিয়োগ পাওয়া একজন সহকারী শিক্ষক ১৩তম গ্রেডে মাত্র ১১,০০০/- টাকা বেতন গ্রেডে (১১,০০০+৪৯৫০+১৫০০+২০০) মোট। ১৭,৬৫০/- টাকা পায়। মাসিক এ বেতনে সংকুলান না হয়ে অনেক ক্ষেত্রে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশা ও মনঃকষ্ট নিয়ে যাপিত জীবন অতিবাহিত করেন। মাসিক এ বেতনভাতা দিয়ে কখনো উন্নত জীবন মান সম্ভব নয়। আর এই কারণেই মেধাবীরা প্রাথমিকে শিক্ষকতা পেশায় না এসে অন্য পেশায় ছুটছেন। নোবেল বিজয়ী বীরের জাতি, আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক, নোবেল বিজয়ী মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বৈষম্যবিহীন রাষ্ট্র বিনির্মানে দৃঢ় প্রত্যয়ী। উন্নত, সুখী, সমতার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রাথমিকের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিকের শিক্ষকতা পেশায় মেধাবীদের আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আশু প্রয়োজন। সাবেক স্বৈরাচারী সরকার ০৯/০৩/২০১৪ তারিখে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর ঘোষণা করলে ও আজ পর্যন্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আমাদের কাঙ্খিত ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল দেয়নি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা প্রধান শিক্ষক পদটি ১০ম গ্রেডের পরিবর্তে ৯ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবী করছি। প্রাথমিকের সকল পদে পদোন্নতি থাকলেও ১৯৯৪ সনের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদটি ব্লক করে রাখা হয়েছে। নিয়োগ বিধি সংশোধন পূর্বক শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি চাই’।