প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে লামা বাজারের পাবলিক পুকুর সংস্কার কাজ বন্ধের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিপ্লব দাস কর্তৃক মিথ্যা প্রচারণা করে সাম্প্রদায়িক উস্কানির প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ ‘মানববন্ধন’ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ২৪ নভেম্বর সোমবার
লামা উপজেলা প্রশাসন সম্মুখ প্রধান সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী নেতারা। লামা বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী ডা: দিলীপ কান্তি দাস তার বক্তব্যে বলেন, পুকুর সংস্কার কাজে বাঁধাদানকারী, প্রশাসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা বিপ্লব দাসকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির আওতায় আনা হোক। লামা বাজার ব্যবসায়ীবৃন্দ ও সচেতন মহল এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ,
সাধারণ সম্পাদক বিপুল নাথ। বক্তারা বলেন, ২২ নভেম্বর রাতে বিপ্লব দাস তার ফেসবুক আইডিতে একটি মনগড়া মিথ্যা বিবৃতি প্রচার করে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর ষড়যন্ত্র করে। ফেসবুক লাইভে সে বলেছে, পুকুর সংস্কারের সময় তার ঘর ভেঙে দিয়েছে। বস্তুতঃ বিপ্লব দাস পুকুরের পাড় দখল করে একটি ঝুপড়ি রান্নাঘরকে সে বাড়ি বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাইকে বিভ্রান্ত করে। ওই পুকুর পাড়ে তার মতন আরো অনেকের রান্না ঘর ছিলো। সাম্প্রতিক সময়ে শতবর্ষী পুকুরটি দখল দূষণ মুক্ত করে সংস্কারের প্রয়োজনে সবাই স্ব স্ব উদ্যােগে তাদের রান্না ঘর সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু বিপ্লব দাস নিজেকে একটা কিছু ভেবে ঘরটি সরায় নাই। কর্তৃপক্ষ তাকে বার বার তাগিদ দেন। সে বলেছিলো কাজ শুরু হলে রান্নাঘরটি সরিয়ে নিবেন। কিন্তু কথা রাখেনি। ফলে ২২ নভেম্বর কাজের সুবিধার্থে সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা সেটি সরিয়ে দিয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, পুকুর পাড়টি কারো ব্যক্তিগত নই। পুকুরটি দখল দূষণ মুক্ত করার পক্ষে সবাই একমত। কিন্তু বিপ্লব দাস নানান কৌশলে এর বিরোধীতা, সংস্কার কাজে বাঁধা দিতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধনে আঘাত হানার অপচেষ্টা করে চলছে। তার মনগড়া ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করে যে কথা লিখেছে ও ভিডিও বার্তা প্রচার করেছে; সেটা পড়ে সবাই মনে করবে তার বসত ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলে গোটা সমাজ পরিমন্ডলে নেগেটিভ প্রভাব পড়তে পারে। বক্তারা বলেন, বিপ্লব দাস সাম্প্রদায়িক মানসিকতা সম্পন্ন একজন উগ্রবাদ ব্যক্তি। সে বিগত তিন বছর আগে লামায় একটি ইসলামী সম্মেলন নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে এলাকায় সেন্টিমেন্ট সৃষ্টি করে দিয়েছিলো। ওই সময় সে জনতার রোষাণলে পড়ে এক বছর গাঢাকা দিয়েছিলো। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা জানান, বিপ্লব দাসের দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রচার প্রচারণায় যেন, প্রশাসন কর্ণপাত না করে। পুকুরের সংস্কার কাজ অব্যাহত রাখার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।