মোঃ কামরুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার:
লামায় পর্যটন শিল্প বিকাশে স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। প্রতিদিন পাহাড় চুড়ায় ২৫টি কটেজ অবস্থান নিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার আগন্তকরা। পাহাড় প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন ভ্রমন পিপাসুদের আগমন ঘটছে এখানে। এখন প্রয়োজন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। লামা উপজেলার প্রতিটি পাহাড় সবার জন্য নিরাপদ। সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য লামায় পর্যটন ব্যবসা প্রসারমান হচ্ছে।
লামা-চকোরিয়া সড়কের মিরিঞ্জা বেল্টে ইয়াংছা ও ছাগল খাইয়া মৌজা সীমানা আদ্রি টি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ শ্, স্থান ভেদেে ১০০০-১২ শ্ ফুট উঁচু, সুতরাং এটাকে পর্বতও বলা যায়। এতদিন ওই উঁচু পর্বত চুড়ার কদর ছিলোনা। বিগত বছর খানেক আগে সেখানকার কিছু নান্দনিক দৃশ্য স্থানীয়দের নজরে আসে। পাহাড় চুড়ায় দাড়িয়ে দক্ষিণ পূর্বদিক থেকে পশ্চিম উত্তর কোণ পর্যন্ত বিস্তৃত পাহাড় ও সূর্যোদয় উপভোগ করা যায়। দূরে ও কাছের উঁচু পাহাড়-পর্বত, চিম্বুক বেল্ট উত্তর দিক থেকে মৃদু বাঁক নিয়ে পূর্ব দিগন্ত ছুঁয়ে ক্রমে এঁকেবেঁকে দক্ষিণে গিয়ে পশ্চিম মুখি হয়। দৃশ্যত: আলীকদম ম্যারাইনতং বেল্টের সাথে মিলে মিশে লামা মিরিঞ্জা বেল্টে এসে এর সমাপ্তি ঘটে। মেঘ পাহাড়ের মৈত্রি, নয়নাভিরাম সবুজ প্রকৃতি সকলের নজর কাটে। স্থানীয় কিছু যুবক বছর খানেক আগে তিন চারটি বাঁশ ছনের কটেজ বানিয়ে শুরু করেন। প্রকৃতির মাঝে কিঞ্চিত কৃত্রিমতার ছোঁয়া দিয়ে মনোমুগ্ধকর করেছে পাহাড় চুড়ার রঙীন টিনের কটেজ। দেখে মনে হয় মেঘ ছুঁয়া পর্বত শীর্ষে জোড়াবাড়ির রক্তিম আভা। সীমাহীন সবুজ প্রকৃতির গায়ে কৃত্রিম লাল রঙের এমন সব সৌন্দর্যের সমাহার দেখতে ঘুরে আসতে পারেন পার্বত্য লামা থেকে। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা দেড় ঘন্টা সময়ে মধ্যে পৌঁছাতে পারবেন। ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে নিজের বাইক কিংবা বড় বাহন নিয়ে সরাসরি আসতে পারেন। গুগল চার্জে ‘লামা সানসেট’ অথবা ‘ম্যারাইনছা হিল’ চার্জ করলে বিস্তারিত নির্দেশনা পেয়ে যাবেন।