লামায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৭ অক্টোবর তিঁনি লামায় এসে পৌঁছেছেন। ২৮ অক্টোবর লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। এর আগে বন বিভাগের ঢাকাস্থ সদর দপ্তরে উপ-বন সংরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন এই কর্মকর্তা। তিঁনি জানাগেছে তিঁনি একজন কর্মদক্ষ অফিসার। তাঁর জন্ম বৃত্তর রংপুর এর কুড়িগ্রাম জেলায়। এর আগে গত ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হিসেবে এস এম কাউছার এর স্থলাভিষিক্ত হন আরিফুল হক বেলাল। তিঁনিও লামায় যোগদানের পূর্বে ঢাকাস্থ বন বিভাগের সদর দপ্তরে উপ-বন সংরক্ষক পদে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। বর্তমানে ভোলা বন বিভাগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হিসেবে বদলী আদেশ হয় আরিফুল হক বেলাল এঁর। তাঁর জন্মস্থান কুষ্টিয়া জেলা। বন ও পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে আরিফুল হক বেলাল একজন প্রাজ্ঞ -অভিজ্ঞ কর্মকর্তা। জানাযায়, তিঁনি বন বিভাগের নীতি নির্ধারনীদের মধ্যে একজন। লামা বন বিভাগের আওতাধীন প্রস্তাবিত ‘সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য’ সম্ভাব্যতা ও বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় প্রকল্প চূড়ান্তপর্বে নিয়ে গিয়েছেন। ২০২৩ সালে তিঁনিই প্রথম জবর দখলকারীদের কবল থেকে লামা বন বিভাগের বমু সংরক্ষিত এলাকার ৬ একর ভূমি উদ্ধার করে সেখানে বন সৃজন করে দিয়েছেন। তাঁর তিন বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনকালে এই এলাকার পাহাড়, প্রকৃতি রক্ষায় তিঁনি মাটি পাথর ব্যবস্থপনায় উদ্বিগ্ন ছিলেন। প্রতিকূলতার মাঝেও জীবন ধারণে বন ও পরিবেশ-জীববৈচিত্রের গুরুত্ব পত্রপত্রিকায় তুলে ধরার জন্য একান্ত আলাপচারিতায় অনুরোধ জানাতেন। তিঁনি প্রায়ই বলতেন, ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে পার্বত্য জেলার পাহাড়গুলোকে সুরক্ষার জন্য সরকার ও স্থানীয় নীতি নির্ধারনীদেরকে আগ্রহী করার ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব অনেক বেশি। এই কর্মকর্তা কাজে সময় কাটাতেন, ছিলেন প্রচারবিমুখ। বন অধিদপ্তর ও বন বিভাগের লক্ষ উদ্দেশ্য যেমন; বনজ সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই বন ব্যবস্থাপনা।
ইকোসিস্টেম ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ।
জনগণের অংশগ্রহণে বন সম্প্রসারণ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা এবং সংস্কার ও সুশাসনমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন জোরদারকরণে একজন নিরলস কর্মকর্তা লামা থেকে সদ্য বিদায়ী ডিএফও আরিফুল হক বেলাল।