
লামা বান্দরবান সংবাদাতা:
দখল-দূষন মুক্ত করে জনগণের জন্য উম্মুক্ত করা হচ্ছে লামা বাজার পুকুর। ১২ সেপ্টেম্বর লামা উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে শুরু হয়েছে আবর্জনা অপসারণ। লামা বাজারে দখল দূষণের কবলে অস্তিত্ব সংকটে থাকা শতবর্ষী পুকুরটি উদ্ধার অভিযান চলছে।
দীর্ঘকাল ধরে অব্যবস্থাপনায় জেঁকে বসা দূর্ণীতির জগদ্দল পাথর ও শত টন ময়লা সরিয়ে পুকুর উদ্ধারে তৎপর হলেন লামা উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যদিয়ে বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়িদের প্রত্যাশিত একটি প্রাণের দাবি। তথ্য সূত্রে প্রকাশ, লামায় ১৮ শ্ শতাব্দির শেষ দিকে বাণিজ্যিক এলাকায় খনন করা প্রথম পুকুর এটি। চরম অব্যবস্থাপনায় বহুকাল ধরে বেদখলে ছিলো এই জলভান্ডার।
পাড়ের বাসিন্দাদের লোলুপতা পুকুরটি দূষণ দখল হয়ে আকার হারিয়ে ফেলে।
দৃশ্যত এটি ময়লার ভাগাড় একই সাথে পাড়ের বাসিন্দাদের গন সেফটিক ট্যাঙ্কিতে পরিণত হয়। জবর দখল ও দূষনের আগ্রাসন থেকে এই পুকুরটি উদ্ধার ও পুন:খনন করে বাজারবাসীদের ব্যবহার উপযোগী করার দাবি করে আসছিলো সাংবাদিক ও বাজার ব্যবসায়িরা। অবশেষে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌং এর গুরুত্ব অনুধ্যান করেন। তিনি বাজার ফান্ড প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও পুকুরের মালিকানা দাবিদার প্রবীন বাজার ব্যবসায়ি দিলীপ ডাক্তারসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে সমন্বয় করে উদ্ধার সংস্কারের উদ্যােগ নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন। অবশেষে জীবন বান্ধব এই মহতি উদ্যােগ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এর মধ্যদিয়ে শুভসূচনা হলো দখল দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা। উদ্ধার-সংস্কার অভিযানে নেতৃত্বদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌং বলেন, ‘বহু আগে থেকে পুকুর জলাশয় রক্ষায় মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। তাছাড়া পরিবেশ রক্ষায় জীবানানুকুল আইনের প্রয়োগ বাস্তবায়ন করা প্রশাসনের চলমান দায়িত্ব’। তিনি আরো বলেন, ‘ম্যাপ অনুযায়ী পুকুরটির আয়োতন নিশ্চিত হয়ে পাড় বেদখল থাকলে, সেটিও উদ্ধার করা হবে’। পুকুর উদ্ধার কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতা কামণা করেন এই তরুন কর্মকর্তা।