পার্বত্য (বান্দরবান) লামায় জুলাই-২৪ বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, স্বৈর শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার বিপ্লব ছিল একটি ঐতিহাসিক পট পরিবর্তন। জুলাই বিপ্লবকে চেতণায় ধারণ করে স্বৈর শাসকের পক্ষে দেশ দ্রোহী-ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় লামা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কমপ্লেক্স হলরুমে অনুষ্টিত স্মরন সভায় সভাপতিত্ব করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌং। স্মরণ সভার শুরুতে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করে জুলাই বিপ্লবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সভায় বক্তারা ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক বিগত দিনে নির্যাতনের করুন কাহিনী প্রকাশ করেন। তারা বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষে দাবি করে আওয়ামীরা মূলত: ভারতের পক্ষে কাজ করছে। শত শত ছাত্র জনতার প্রাণ কেড়ে নিয়েও স্বৈরচার হাসিনা সরকার টিকতে না পেরে ভারতে পালিয়ে যায়। অন্তর্বর্তী সরকারের অধিনে মুক্ত গণতন্ত্রের পরিবেশকে নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মা চিম্ময় দাস এখন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ চড়াচ্ছে। তারা সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য যতই চেষ্টা করুকনা কেন, দেশ প্রেমিক মানুষ, ছাত্র জনতা সহনশীলতার সাথে তা নস্যাৎ করে দিবে। উপজেলা প্রশাসকের সিএ মোহাম্মদ কামরুল হাসান পলাশ এর সঞ্চালনায়। স্মরণ সভায় বক্তব্য দেন, লামা সরকারি মাতামুহুরী কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মোনায়েম, লামা ইসলামি ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যাপক মোঃ ফারুক, মোঃ তমিজ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লবে রাজপথে আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের নগ্ন হামলা, নির্বিচারে হত্যার বিবরণ তুলে ধরেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন লামা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ কামালুদ্দিন, সাবেক পৌর মেয়র বিএনপি নেতা আমির হোসেন, উপজেলা বিএনপি সভাপতি (একাংশের) আবদুর রব, লামা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, তথ্য প্রযক্তি কর্মকর্তা সুব্রত দাস প্রমূখ। স্মরন সভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও বিপ্লবে আহতদের সুস্থতা কামণা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।