
লামা (বান্দরবান) সংবাদদাতা: ২৬ ফেব্রুয়ারি/২৫
লামায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট। বুধবার দুপুরে এলাকার পরিবেশ রক্ষাসহ অপরাধ দমনে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনার সময়
লামা উপজেলাধীন ০৩ নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী পেতিন্যার ছড়া নামক স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ০৫(পাঁচ) জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হরো, আবদুস সালাম (৫৫), পিতা: মোহাম্মদ হোসেন, সাং: খন্দকার পাড়া, ০৮ নং ওয়ার্ড, ফাঁসিয়াখালী ইউ.পি, চকরিয়া, কক্সবাজার ও জমির উদ্দিন (৪০), পিতা: নুরুল কবির, সাং: দক্ষিণ ঘুনিয়া, নয়াপাড়া, ০৫ নং ওয়ার্ড, ফাঁসিয়াখালী ইউ.পি, চকরিয়া, কক্সবাজার। এদের দু’জনকে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫(১) ধারা মোতাবেক প্রতিজনকে ০৬(ছয়)মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর তিনজন যথাক্রমে; মিজানুর রহমান (৩৫), পিতা: নুরুল কবির, সাং: পশ্চিম পুক পুকরিয়া, ০৯ নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, চকরিয়া, কক্সবাজার; সাদ্দাম হোসেন (২৫), পিতা: নুরুল আলম, সাং: মুসলিম নগর, ফাঁসিয়াখালী ইউ.পি, চকরিয়া, কক্সবাজার ও নুরুল আমিন (২৭), পিতা: আহমদ সোবহান, সাং: নয়াপাড়া, ফাঁসিয়াখালী ইউ.পি, চকরিয়া, কক্সবাজার-কে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫(১) ধারায় প্রতিজনকে দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। লামা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্টেট সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব এর নেতৃত্বে অভিযানে সহায়তা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও লামা থানার পুলিশ। সাম্প্রতিক সময় লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকারি স্থাপনা ধ্বস ও পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারি পেতাইন্যাছড়া নামক এলাকা এর ভয়াবহ অবস্থা দেখা দেয়। এছাড়াও ইউনিয়নের বগাইছড়ি,
হারগাজা ছড়া, ফকিরা খোলাসহ আরো কয়েকটি স্থানে দীর্ঘকাল ধরে অবৈভাবে বালু উত্তোলন করে ফসলি জমি, রাস্তাঘাট নষ্ট করে চলছে একাধিক মহল। সম্প্রতি এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করায়, আবদু শুক্কর নামের ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে মেরে রক্তাক্ত করেন। হামলাকারীরা হলেন, মোঃ আরমান, পিতা জাফর আলম ও মোঃ জাফর আলম, পিতা হাবিবুর রহমান, উভয় সাং: নতুনপাড়া, ৮ নং ওয়ার্ড, ডুলহাজারা ইউপি চকরিয়া কক্সবাজার। বিষয়টি ২৪ ফেব্রুয়ারি লামা উপজেলা মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় উত্থাপিত হয়। লামা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়, পরিবেশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।