
হামিদুল ইসলাম,
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।
ডাকাতিয়া নদীর লাকসাম অংশের তলদেশের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেছে লাকসাম উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার দিনব্যাপী ওই অপসারণের কাজ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন। ডাকাতিয়া নদীকে অতীতের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদের নেতৃত্বে ডাকাতিয়া নদীর লাকসাম পৌরসভা অংশ, বাকই দক্ষিণ অংশ, মুদ্যফরগঞ্জ দক্ষিন অংশ এবং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের উত্তর অংশে ডাকাতিয়া নদীর নাব্যতা ফেরাতে তলদেশ পরিষ্কার অভিযান শুরু করেন।
নদীর উপর বিভিন্ন স্থানে ব্রিজ নির্মাণের সময় যে বাঁধ দেয়া হয়েছে ওই বাঁধ পরবর্তীতে না সরানোর কারণে একটি স্থায়ী প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিলো। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের বেড়া দিয়ে ভেয়াল জালে মাছ ধরার কারনেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীতে অবাধে পানি প্রবাহিত না হওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ, কৃষিসহ হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ। এসব হুমকি থেকে ডাকাতিয়া নদীকে বাঁচানোর জন্য মহৎ এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছার হামিদ।
এ বিষয়ে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ বলেন, ডাকাতিয়া নদী বর্তমানে খাল, ডোবা, নালায় পরিণত হয়েছে। ডাকাতিয়া নদীকে একটি আকর্ষণীয় নদীতে রূপান্তরিত করার কাজ চলছে। আমরা প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযানের অংশ হিসেবে কচুরিপানা, ভেসাল জালসহ পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেছি। এতে করে বর্তমানে পানি প্রবাহ বেড়েছে। এই কাজটা একদিনে শেষ করা যাবে না। এটা অনেক দিনের কাজ এবং ডাকাতিয়া নদীর নাব্যতা ফেরাতে সকল ধরনের কাজ চলমান থাকবে।
তিনি বলেন- শুক্রবার প্রাথমিকভাবে তলদেশের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেছি। এ অপসারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এতে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন লাকসাম সিটি রানার গ্রুপ, মানবতার তরে মানবপ্রেমী, জামায়াতে ইসলামীর মানবিক টিম, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।