
শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র মাস মাহে রমজান। বিশ্বজুড়ে সিয়াম সাধনা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এদিকে রোজা না রেখে তোপের মুখে পড়লেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। নেটদুনিয়ায় রীতিমতো তাকে আক্রমণ করেছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। তাদের মতে, অনেক বড় বড় খেলোয়াড়রা রোজা রেখেই খেলেছেন। তাহলে শামি কেন পারবেন না?
বিতর্কের সূত্রপাত গত মঙ্গলবার। ওইদিন দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা শামি এদিনও বল হাতে সফল ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট তুলে নেন শামি।
https://x.com/erbmjha/status/1897557982612787592
ম্যাচ চলাকালীন দেখা যায়, বাউন্ডারি লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে এনার্জি ড্রিঙ্কস পান করছেন শামি। সেই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। রমজান মাস শুরু হয়ে গেলেও সেমিফাইনালের দিন রোজা রাখেননি শামি। তারপর থেকেই তারকা পেসারের ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করে শুরু হয় সমালোচনা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হাশিম আমলার উদাহরণ টেনে একজন তোপ দেগেছেন শামিকে। তার কথায়, ‘হাশিম আমলার উদাহরণ দেখুন। রমজানের রোজা রেখেই দুরন্ত ইনিংস খেলেছেন। তার মতো বিশ্বাস এবং নিয়মানুবর্তিতা পালনের শিক্ষা নেওয়া উচিত শামির।’ আরেকজন তো শামির ধর্মপালন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তার প্রশ্ন, ‘শামি আপনি কেমন মুসলিম। রোজা রাখেননি, অন্তত রমজানকে তো সম্মান করুন।’ অনেকের মতে, ফুটবলাররা তো রোজা রেখেই পুরো ম্যাচ খেলেন। তাহলে শামি পারবেন না কেন?
গত ২ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে রোজা শুরু হয়েছে। মুসলিম হিসেবে রোজা রাখেন শামি নিজেও। কিন্তু ভারতের ম্যাচ যেদিন থাকে, সেদিন রোজা রাখেন না। দেশের হয়ে খেলাকেই গুরুত্ব দেন। কিন্তু এবার রোজা না রাখার কারণে তাকে নেটদুনিয়ার তোপে পড়তে হলো। অবশ্য তার পক্ষেও অনেককে বলতে শোনা গেল।
একজন লিখেছেন, দুবাইয়ের গরম কন্ডিশনে ৫০ ওভারের ম্যাচে রোজা রেখে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন। এ ছাড়া আরেকজন বলেছেন, শামির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা। রোজা রেখে খেললে পারফরম্যান্সে হেরফের হতে পারতো।