চট্টগ্রাম ব্যুরো– রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে দন্দ্ব ও সংঘাতের পরিবর্তে শান্তিপূর্ন সহাবস্থান নিশ্চিতে রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী ওনাগরিক সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের উপস্থিতিতে শান্তি ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে টাউন হল মিটিং সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নগরীর কারিতাস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্বে করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্টও আইএসডিই এর নির্বাহী পরিচালক এস এম নাজের হোসাইন।
যুক্তরাস্ট্রের আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা আইআরআই এর সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন পালস বাংলাদেশের আয়োজেনেঅনুষ্ঠিত সভায় ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল আলম, বিশিষ্ট নারী নেত্রী, এডাব চট্টগ্রাম ও ক্যাব চট্টগ্রামমহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক, ন্যাপ কেন্দ্রিয়কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মিটুল দাসগুপ্ত।
আলোচনায় অংশ নেন পালস বাংলাদেশের পরিচালক আবুল বাশার, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগর সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সহ–সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামীলীগ চট্টগ্রাম মহানগরেরনেত্রী ঝর্ণা বড়ুয়া, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল চট্টগ্রাম মহানগরের নেত্রী সায়মা হক, নাসিমা আকতার, প্রশিকার উপ–পরিচালক শাহাদতহোসেন, ক্যাব পাঁচলাইশের সাধারন সম্পাদক মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, জেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ জানেআলম, চান্দগাঁও ল্যাবরেটরী পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ ইসমাইল ফারুকী, ক্যাব বায়েজিদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবম হুমায়ুন কবির, ক্যাব পাহাড়তলীল হারুন গফুর, ক্যাব সদরঘাটের শাহীন চৌধুরী, সবুজের যাত্রার নির্বাহী পরিচালক সায়েরা বেগম ও ক্যাব যুব গ্রুপচট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ সর্বস্তরের মানুষ যেন মতপ্রকাশ করতে পারে, রাজনৈতিকদলগুলো যেন তাদের কর্মসুচি পালন করতে পারে সে বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে উদ্যোগ নিতে হবে। নির্বাচনের সময়ভোটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেত পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিতের আহবান জানান।
বক্তারা আরও বলেন, যদি কোনো ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাস বা গোলযোগের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে সেই কেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত রাখাএবং গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির আওতায় আনতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে দৃশ্যমান তৎপরতা নিশ্চিত করতেহবে। নির্বাচনের অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে প্রয়োজনে হলে সামরিক বাহিনী তলবসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আগেই গ্রেপ্তারকরতে হবে। যাতে কেউ অতীতের মতো কোনো সন্ত্রাস বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সাথে নতুনভোটারসহ সকল ভোটারদেরকে নির্বাচন কেন্দ্রে আনতে রাজনৈতিক দলগুলোকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। দলীয় প্রার্থী নির্বাচনেটাকার বিনিময়ে প্রার্থী কেনা বেচা বাদ দিয়ে পেশাদার ও পরীক্ষিত রাজনৈতিক নেতাদেরকে মনোনয়ন দেয়া, ভোটারদের মূল্যায়ন, জনভোগান্তি নিরসন ও তাদের সমস্যাগুলো অধিক গুরুত্বারোপ করে দৃশ্যমান জবাবদিহিতা এবং সুশাসন নিশ্চিত করার ওপরগুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, পেশাজীবি সহছাত্র ও যুব সংগঠনের ৯০জন অংশগ্রহনকারী অংশ গ্রহণ করেন ।