দেলোয়ার হোসেন
সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে অাজ ভোরবেলা র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর গুলশান এলাকায় একটি পাঁচতারকা হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও পুলিশ সদস্য’কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যমের ফুটেজ, মামলার এজহার ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণপূর্বক জড়িত আসামী ১। মোঃ জুয়েল আহম্মেদ (৫২), ২। মোঃ ইফসুফ আলী ভুইয়া (৬৯), ৩। মোঃ মাসুম শিকারী (৪৫), ৪। হাবিবুর রহমান সেলিম (৪৮), ৫। মোঃ শফিউদ্দিন ভুইয়া (৫১), ৬। মোঃ শফিউদ্দিন ভুইয়া (৪৮), ৭। মোঃ মাসুকুল ইসলাম @রাজিব (৫৩), ৮। মোঃ শাকিল মিয়া (৪০), ৯। মোঃ আরমান মোল্লা (৪৬) ও ১০। মোঃ হাবিবুর রহমান (৫৪) আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জদেরকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতা চালিয়ে ততোধিক পুলিশ সদস্য’কে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃতরা দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ও জনজীবন বিপর্যস্ত করতে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পাঁচরুখী এলাকায় কতিপয় দুস্কৃতিকারী সহযোগিসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, ইট পাথর, ককটেল বোমা ফুটিয়ে দাপট প্রর্দশন এবং ভয়ভীতি ও ত্রাসের সৃষ্টি করে ঢাকা-সিলেট মহসড়কে টায়ার পুড়িয়ে ও গাছের গোড়ালি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় তারা মহাসড়কে এ্যাম্বুলেন্স গণপরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইট- পাথর নিক্ষেপ করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ সময় গ্রেফতারকৃতরা তাদের অন্যান্য দুস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষ, দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীদের ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে হামলা ও আক্রমণ করে জখম করে। তন্মধ্যে তারা ০৩ জন পুলিশ সদস্যকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপানোসহ বিভিন্নভাবে গুরুতর জখম করে। পরবর্তীতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে একপর্যায়ে নরসিংদী টু ঢাকাগামী কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ভাংচুরসহ পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষে মহাসড়কে বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, হামলা ও নাশকতার পর জড়িতরা রাজধানীর গুলশান ও পাশর্^বর্তী বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও নামীদামী হোটেলে নিরাপদে আত্মগোপনের জন্য অবস্থান করে। এ সকল নামীদামী হোটেলে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল এবং বিভিন্ন সহিংসতা ও নাশকতায় সরাসরি অংশগ্রহণ করছিল। রাজধানী গুলশান এলাকার স্বনামধন্য পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান করে গ্রেফতারকৃতরা গুলশান এলাকায় নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানা যায়।
। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।