বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২৩, ২০২৫

রাজউকে দুর্নীতির মহোৎসব আলোচনার কেন্দ্রে মো. আলম মোস্তফা

Logo
ডেস্ক রিপোর্ট শনিবার, ১৪ ২০২৪, ৪:১১ অপরাহ্ণ

মোঃ রিপন হাওলাদার:

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের ঘটনায় বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে বারবার সমালোচিত হচ্ছে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং কার্যক্রমে দুর্নীতিবাজ চক্ররা এখন গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত।

রাজউকের সদস্য অর্থ প্রশাসন (মেম্বার অর্থ এডমিন) মো.আলম মোস্তফার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর উত্তরা,গুলশান,বনানী ও পূর্বচলে প্লট ও ফ্ল্যাট লীজডিড কার্যক্রমে রয়েছে অন্তহীন দুর্নীতি ও অনিয়ম।গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা এমন তথ্য জানা যায় বিভিন্ন সূত্রে। আরো জানা গেছে, রাজউক চেয়ারম্যানের নির্দেশ ছাড়া রাজউকের মেম্বার অর্থ এডমিন মো. আলম মোস্তফা তার নিজ ইচ্ছায় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে একের পর এক দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. আলম মোস্তফার দুর্নীতির কারণে ঢাকার উত্তরা, গুলশান,বনানী ও পূর্বচলে প্লট ও ফ্ল্যাট লীজডিড কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধ হয়ে আছে। যার জন্য প্রতি মাসে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তিনি একাধিকবার কানাডা,আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।গুঞ্জন উঠেছে তার কানাডায় নাকি বাড়ি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টও আছে ।আরও জানা গেছে, রাজউকের প্রধান ভবনের পিছনের ভবনে বিভিন্ন ফ্লোর ফাঁকা রেখে,রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাজউকের ৪টি জোন অফিস করেছে।ওই ৪টি জোন অফিসের ভাড়া গুণতে হচ্ছে ৩/৪ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে এই টাকা ব্যয় হচ্ছে।সেখান থেকে একটি অংশ কমিশন হিসেবে আলম মোস্তফার পকেটে যায় বলে একটি সূত্রে জানা যায়। রাজউকের মেম্বার অর্থ এডমিন মো. আলম মোস্তফা হচ্ছেন একজন সরকারি কর্মকর্তা।তিনি কিভাবে এতো টাকার মালিক হলেন। এইসবের উৎস কি তা খোঁজখবর রাখছেন দুদকের একটি অনুসন্ধান টিম।
অপর একটি সূত্র জানায়,একের পর এক নতুনত্ব ঘটনার জন্ম দিচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি এবং অনিয়মের কারণে বার বার আলোচিত-সমালোচিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।রাজউকের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে অনিয়ম-দুর্নীতির কালো ছায়া গেড়ে বসেছে। সংস্থাটির সেবার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্তরেই দুর্নীতি ও ভয়াবহ অনিয়ম রয়েছে।এসব দুর্নীতির ক্ষেত্রে রাজউক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাত কান্ড স্পষ্ট হচ্ছে। ফলে,রাজউক কর্তৃক সার্বিক জবাবদিহি কাঠামো কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা,পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ অন্যান্য দায়িত্ব পালন ব্যহত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মন্তব্য, নতুন করে দফতরটির বেহাল পরিস্থিতি বানানোর জন্য আগমন ঘটেছে পতিত সরকারের অন্যতম দূর্নীতিবাজ দোসর,বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপ-সচিব মো.আলম মোস্তফার। সূত্র জানায়,আলম মোস্তফা বিগত সরকার আমলে মন্ত্রী এমপিদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন।যে কারণে তার বাহিরে টেন্ডার, কেনাকাটা,বদলি বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্যসহ সব কিছুই চলতো তার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে।

তার এমন বেশুমার কর্মকাণ্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগে উল্লেখ আছে মো. আলম মোস্তফা, সাবেক উপ-সচিব, বানিজ্য মন্ত্রণালয়, বর্তমান-সদস্য প্রশাসন ও অর্থ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রধান কার্যালয়, ঢাকা। সে গত স্বৈরশাসক আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছে। সে সুবাদে সেখানে সরকার দলীয় ঠিকাদারদের সাথে আতাতের মাধ্যমে কাজ পাইয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য করে স্ত্রী, সন্তান, শশুর শাশুড়ীসহ দেশে বিদেশে অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি।অভিযোগে তার অঢেল সম্পদের এমন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে (১) বিল্ডিংয়ের নাম Ventura Rosabelle, plot SW (S)-3/B, Road-2, Gulshan, Dhaka-1212। (২) পূর্বাচলে ৫ কাঠার প্লট, (৩) উত্তরার ৫ নং সেক্টরে ৬ তলা বিশিষ্ট আলিশান বাড়ি। (৪) ধানমন্ডির শংকর রোডে শশুরের নামে ৮তলা বাড়ি। (৫) গোপনে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট। (৬) আওয়ামী লীগের সাথে গোপন আঁতাত।(৭) বিদেশে অর্থ পাচার অজানা আরও অসংখ্য দুর্নীতির সাথে জড়িত আলম। সম্প্রতি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে যোগদানের পর হতে ফাইল আটকিয়ে দরকষাকষির মাধ্যমে অর্থের নেশায় আরও বেপরোয়া আকার ধারণ করেছে তার দুর্নীতি। জাকারিয়া কাজল নামে জনৈক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি দাখিল করেন। এসকল বিষয়ে একজন গণমাধ্যম কর্মীর সাথে তার কথা হলে তিনি তাকে জানান কেউ তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে তার পেছনে লাগিয়েছে। বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন,সে আরো বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে তার কোনো সম্পত্তি নেই। তার সঙ্গে কথা বলার সময় তখন একজন সাংবাদিককে ফোনটা ধরিয়ে দিলে তিনি অত্যান্ত ভালো লোক আমি তাকে অনেক দিন থেকে চিনি বলে তার পক্ষে গুণকীর্তন করে বলে জানা যায়।রাজউকের মেম্বার অর্থ এডমিন মো. আলম মোস্তফা জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা একটি মহল মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন।

ADVERTISEMENT
অন্যান্য সংবাদ

লামা (বান্দরবান) সংবাদদাতা: বান্দরবান লামা উপজেলার ৫টি ট্রাক্টর মহেশখালীতে পুড়ে দিয়েছে, সেখানকার আধিপত্য বিস্তারকারী দুর্বৃত্তরা। দুর্বৃত্তরা ৫টি ট্রাক্টর পুড়েছে শুধু তাই নই; …

মোঃ কামরুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার: লামা উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে লামায় বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মতবিনিময় …

দেলোয়ার হোসেন রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে একটি বিদেশী পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-লালবাগ বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- …

মোঃ আব্দুল হান্নান, আদমদিঘী উপজেলা, প্রতিনিধি: স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে এব; সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জিল্লুর রহমান এর …