মোঃরায়হান, রাঙ্গাবালী
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মোবাইল গেমসে দিন দিন আসক্ত হয়ে পরছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পরুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা। তাদের দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় কাটছে মুঠোফোনে ভিডিও গেমস খেলে। তারা যতটা সময় দিচ্ছে লেখা পরায় তার চাইতে বেশি সময় দিচ্ছে বিভিন্ন ভিডিও গেমসে।
স্থানীয়দের মতে অভিভাবকদের উদাসীনতার কারনেই এমনটা হচ্ছে।
সরেজমিনে উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া মহল্লায় ঘুরে দেখা যায়,কিশোর তরুনরা রাস্তার মোড়ে,গাছের নিচে,খোলা কোন জায়গায়,স্কুল মাদ্রাসার মাঠে,ও চায়ের দোকানে জুটি বেঁধে বসে অনেক্স বেল্ট, লুডু-ফ্রি ফায়ার-পাবজি গেমস সহ বিভিন্ন গেমস খেলায় ব্যস্ত।
উপজেলার একাধিক সচেতন ব্যক্তি জানান,উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীরা ও তরুনরা নেশার মতো মোবাইল গেমসে আসক্ত হয়ে পরছে। যে সময়টা তাদের ব্যস্ত থাকার কথা পরালেখা-খেলার মাঠে ত্রুীয়া চর্চার মধ্যে সেখানে তারা মোবাইল গেমসে আসক্ত হয়ে পরছে।
উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের,আব্দুল হাকীম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাহতাব হোসাইন বলেন, রাঙ্গাবালীতে মোবাইলের ভিডিও গেমস এখন ভয়াবহ আকার ধারন করেছে, আমার মতে এটা এখন ব্যধি মাদকের মতো একটি নেশা যারা একবার আসক্ত হয়ে যায় তাদের ফিরিয়ে আনা মুশকিল। এতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে এবং বিভিন্ন অপরাধে মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। অভিবাবকদের অসচেতনতার কারনে বেশি হচ্ছে বলে মনে করি।
রাঙ্গাবালী ইউনিয়নের আমলি বাড়িয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাহমুদ মাওলানা বলেন,বিষয়টি সঠিক এর জন্য বেশি দায়ি অভিভাবক তারা বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিচ্ছে, বাচ্চারা কোথায় যাচ্ছে কি করছে লেখা পরায় কতটুকু সময় দিচ্ছে এ বিষয়ে একে বাড়েই উদাসিন তারা। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা যতক্ষণ অধ্যায়নরত অবস্থায় থাকে ততক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে পারেনা। কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে আসলে আমরা তা জব্দ করি এবং অভিভাবক দের ডেকে এনে ফোনটি হাতে তুলে দেই।
এ বিষয়ে যানতে চাইলে রাঙ্গাবালী উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ জহীর উদ্দিন আহম্মেদ বলেন,
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে অপ্রাপ্তবয়স্ক তরুনরা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা লেখাপড়ায় সময় না দিয়ে সময় দিচ্ছে মোবাইল ফোনের ভিডিও গেমসে। এটা শুধু রাঙ্গাবালী নয় পুরো দেশের একই অবস্থা, এটা চলতে থাকলে এক সময় তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে থমকে পরবে তাদের অদূর ভবিষ্যৎ। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা নিতে হবে।
মোঃরায়হান
রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি