আলফাডাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি:
দুই হাজার কোটি টাকার পাচারের আলোচিত মামলায় ঢাকা টাইমসের সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার জামিন নিতে আদালতে গেলে দোলনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন দোলন। মঙ্গলবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য ছিলো। দোলন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন।
কিন্তু জামিনের আবেদন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ২২ এপ্রিল মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীকে ভোট করেন আরিফুর রহমান দোলন। কিন্তু নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমানে কাছে পরাজিত হন তিনি।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় করা মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত এবং তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়।
পরের বছর অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশে পুনরায় তদন্ত করে সম্পূরক চার্জশিটে আসামি সংখ্যা করা হয় ৪৬ জন।
এর মধ্যে অন্যতম আসামি ছিল দোলন। রুবেল-বরকত ছাড়াও মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আপন ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
লোকে মুখে শোনা যায় এই দোলন নাকি মোশারফের বর্গা জামাই। আবার অনেকেই চিনে আফসানা মঞ্জিলের মুরিদ হিসাবে। খন্দকার মোশারফ কে পুঁজি করে গড়ে তুলে ছিলেন হাজার কোটি টাকার কালো পাহার। মাত্র কয়েক বছরেই হয়ে গেলে কোটিপতি।
সাংবাদিকতার আড়ালে চলতো তার সব অপকর্ম। নারী কেলেংকারি থেকে শুরু করে এমন কোনো কাজ সে বাদ দেই নাই।
নাঈম
০১৮৩৮৯৬৬৩১১