মোঃ জুয়েল সিকদার:- রাউজান প্রতিনিধি
রাউজানে ফ্ল্যাট বাসায় পরিচালিত এক হেফাজতখানায় একাধিক শিশুকে বলাৎকার করার অভিযোগে হাফেজ আজিজুল মোস্তফা (৩০) নামে এক হুজুরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় দক্ষিণ রাউজানের ব্রহ্মনহাট এলাকায় ফয়জানে মুস্তফা হেফজখানা থেকে ওই শিক্ষককে বের করে গণপিটুনি দেয় জনতা। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত হয়ে তাকে উত্তেজিত জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে নিজ হেফাজতে নেন।
জানা যায়, ওই শিক্ষক তিন ছাত্রকে অনেকদিন ধরেই বলাৎকার করে আসছিলো । ঘটনা প্রকাশ পায় কোরবানি ঈদের বন্ধের সময় শিক্ষার্থীরা বাড়িতে যাওয়ার পর।
এতদিন মাদরাসা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার মাদরাসা খুললে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা এই ঘটনা ঘটায়। মেম্বারের হেফাজতে থাকা হুজুর দুই শিশুকে বলাৎকার করার ঘটনা স্বীকার করে হুজুর বলেন, গত মাস আগে শয়তানের প্রলোভনে পড়ে তিনি একাজ করেছেন।
পরে তাওবা করে ওই পাপ কাজে জড়িত হননি। এই ঘটনা জানিয়ে থানা পুলিশে ফোন করা হলে রাতে থানার এসআই জাবেদ ঘটনাস্থলে এসে সংশ্লিষ্টদের জবানবন্দি নিয়ে বলাৎকারের স্বীকারোক্তি দেওয়া হুজুরকে থানায় নিয়ে যায়।
শিক্ষক আজিজুলের স্থায়ী ঠিকানা মহেশখালী। থাকেন রাউজানের নানা বাড়ি বাগোয়ান ইউনিয়নের পাঁচখাইন গ্রামে। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন ওরা পাঁচ ভাই মিলে। ভাইদের মধ্যে সকলেই হুজুর।
শিক্ষক, পরিচালক তারা চার-পাঁচ ভাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযুক্তরা রাউজানের নয়। তারা মহেশখালী থেকে রাউজান এসে ফ্ল্যাট বাসায় মাদরাসা পরিচালনা করছে এবং এখানে যে বাসা ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসা করা হয়েছে সেই ব্যাপারেও তিনি কিছু জানেন না।
তিন ছাত্রকে বলাৎকার করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। চুয়েট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক জাবেদ মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই হুজুরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থানা এনেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।