
মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীতে ইয়াবার হোম ডেলিভারিম্যান পাঠাওচালক ও কক্সবাজারভিত্তিক মাদক সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যসহ ০২ (দুই) মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে ডিএনসি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রোঃ (দক্ষিণ) কার্যালয় খিলগাঁও সার্কেলের পরিদর্শক আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল ১৪/০৭/২০২৩ তারিখ রাতে খিলগাঁও এবং তুরাগ থানা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে।
গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে খিলগাঁও থানাধীন খিদমাহ হাসপাতালের সামনে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজারভিত্তিক ইয়াবা পাচারকারী মোঃ আহসান হাবীব হাসান (৪৮)কে ৮০০০( আট হাজার) পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা থেকে পাঠাওচালক ইয়াবার পার্সেল সরবরাহকারী মো: তোফাজ্জল হোসেন (২৮)কে ৩৫০০ (তিন হাজার পাঁচ শত) পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলো:
মোঃ আহসান হাবীব হাসান (৪৮), পিতা- মৃত আনোয়ার হোসেন, ঠিকানাঃ বড়বাজার রোড, বাজারঘাটা ০৩নং ওয়ার্ড, সদর, কক্সবাজার।
2.মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (২৮) পিতা- মো: হাবিবুর রহমান, ঠিকানাঃ খোশকান্দি, সদর, নরসিংদী
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে গ্রেফতারকৃত মো: আহসান হাবীব হাসান একজন পেশাদার মাদক পাচারকারী বলে স্বীকার করে। তিনি কক্সবাজার থেকে প্রতি মাসে ৬/৭টি চালানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচার করে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিতে একজন টুরিস্টের ভূমিকায় বারবার কক্সবাজার যাওয়া আসা করেন। সড়কপথে বাসে কিংবা ট্রেনে এবং আকাশপথে ইয়াবা পাচার করে ঢাকায় অঞ্চলে পৌঁছে দেয়ার কাজে যুক্ত ছিল।
সে কক্সবাজারের বাজারঘাটা এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ঠান্ডা মিয়ার সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য। অপর আসামী তোফাজ্জল হোসেন একজন পাঠাওচালক। তিনি রাইড শেয়ারের ছদ্মবেশে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার হোম ডেলিভারি দিতেন বলে ডিএনসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আটক আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বে মাদক মামলা ছিল কিনা প্রাথমিকভাবে তা যাচাই করা না গেলেও, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে যুক্ত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে, যার পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলমান আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে খিলগাঁও এবং তুরাগ থানায় পৃথক পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে।
আর/এস