মোঃ রিফায়েত ইসতিয়াক হৃদয়ঃ
রংপুরের পীরগঞ্জে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবাদের ভাতার টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা (বর্তমান রংপুর শহর শাখায় কর্মরত) আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে। তিনি ব্যক্তিগত মোবাইলসহ বিভিন্ন নম্বর ব্যবহার করে এ অনিয়ম করেছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এর আগেও ওই কর্মকর্তার নেতৃত্বে ‘নগদ অ্যাকাউন্ট’ খোলার সময় এজেন্টদের যোগসাজশে প্রকৃত ভাতাভোগীদের নম্বরের জায়গায় বিশেষ একটি সিন্ডিকেটের নম্বর এন্ট্রি করে অসংখ্য ভাতাভোগীর টাকা ট্রান্সফার করে নিয়েছেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বরাদ্দের অর্থ প্রথম কিস্তির প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বিতরণ হয় চলতি বছরের ৫-৬ নভেম্বর। দীর্ঘ তিন মাস অপেক্ষার পর টাকা না পাওয়া কয়েকশ প্রতিবন্ধী, বিধবা, বয়স্ক ভাতা সুবিধাভোগী উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন সমাজসেবার ওয়েবসাইট হ্যাকিং করে তাদের নগদ অ্যাকাউন্টের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির টাকা হ্যাকাররা নিয়ে গেছে। সমাজসেবা কর্মকর্তাদের এমন বক্তব্যে হতাশ হয়ে পড়েন ভাতার টাকা তুলতে যাওয়া অসহায় চার শতাধিক সুবিধাভোগী।
সমাজসেবা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জে প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগীর সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৫ জন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে অনগ্রসর ভাতাভোগীদের মধ্যে প্রতিবন্ধী ভাতার চার শতাধিক জনের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে উপজেলা সমাজসেবা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে সেলিনা আক্তার পপি, বাচ্চু মিয়া, রিপু মিয়া নামের তিন প্রতিবন্ধী ভাতা উপকারভোগীর নগদ অ্যাকাউন্টের নম্বর পরিবর্তন করে সাবেক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমানের ব্যক্তিগত নম্বরের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। পাশাপাশি চার শতাধিক প্রতিবন্ধীসহ অন্যান্য ভাতাভোগীর টাকাও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে ট্রান্সফার করে নেন তারা।