রংপুরে গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে ২ এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিখোঁজের ৩৪ ঘণ্টা পর মিললো ১টি মরদেহ
হাবিবুর রহমান,ব্যুরো চীফ রংপুর
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার্থী দুই বন্ধুর মধ্যে প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধার শিক্ষার্থীর নাম মুন্না মিয়া (১৮)।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে অন্য শিক্ষার্থী নাইস আহমেদ (১৯) এখনো নিখোঁজ।
রাতে গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুন্না ও নাইস তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরিদল তাদের উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। বৃহস্পতিবার রাতে বড়াইবাড়ী ঘাটে মুন্নার মরদেহ ভেসে ওঠে। এসময় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না বলেন,মুন্নার মরদেহ স্থানীয়রা উদ্ধার করেছেন। মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। তার দাফনসহ সার্বিক বিষয়ে আমরা নজর রাখছি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা দাফন কাজের জন্য দেওয়া হবে। মুন্নার মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুন্না মিয়া গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া আবাসনপাড়া এলাকার হাসেম আলীর ছেলে। আর নাইস আহমেদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার মোনাব্বর হোসেনের ছেলে। দুজনেই চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে নাইস বিদিতর হরিনাথ এলাকায় নানা বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন। তারা বুধবার বেলা ১১টার দিকে নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া বাজার সংলগ্ন তিস্তা নদীতে গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে যান।