মো: সানাউল্লাহ, প্রতিনিধি দাউদকান্দি, কুমিল্লা।
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার মামলার ১৪ মাস পর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশ। রোববার (৭ জুলাই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
আদালতে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল রাত পৌনে ৮টায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পশ্চিম বাজারে বোরকা পরা ঘাতকের গুলিতে নিহত হন তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জামাল হোসেন।
চার্জশিটে উল্লেখিত আসামিরা হলেন- সুজন (২৮), মো. আকাশ ওরফে আরিফ (২৬), ইসমাইল (৪২), শাহ আলম (৩৬), অলিউল্লাহ (৩৭) ওরফে অলি হাসান, মনির হোসেন ওরফে কালা মনির (৪৪), সুমন হোসেন ওরফে ড্রাইভার সুমন (২৯), দেলোয়ার হোসেন দেলু (৩১), মো. রবি (২৮), মো. শাহ পরান (৩৮), মো. আল আমিন ওরফে শাহ আলী (২৬) ও মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম মাষ্টার (৩৩)।
উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছর ৩০ এপ্রিল রাত পৌনে আটটায় গৌরীপুর পশ্চিম বাজার এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন এশার নামাজ আদায় করতে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওত পেতে থাকা বোরকা পরা তিন জন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জামাল হোসেন। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জামাল হোসেনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যার ঘটনার ২ দিন পর নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৮ জনকে আসামি করে মোট ১৭ জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এ মামলার তদন্ত দেওয়া হয় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া বলেন, মামলার তদন্তে বিভিন্ন সিসিটিভির ফুটেজ এনালাইসিস করে বাদীর আনিত অভিযোগটি যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়েছে তাদের নামে চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাইনি তাদেরকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদী পপি আক্তার বলেন, চার্জশিটের কপি এখনও হাতে পাইনি। তবে জানতে পেরেছি হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেফতার হওয়া বেশ কয়েকজনকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে আমার স্বামী হত্যার ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছি।