নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব হাফসা আক্তারের বিরুদ্ধে কর্মচারিদের সাথে অসাদাচারনের অভিযোগ উঠেছে। তাকে দ্রুত অন্যত্র বদলী করার জন্য কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে আবেদন করেছেন ।
আবেদন পত্র থেকে জানা যায়, হাফছা বেগম কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে যোগদানের কিছু দিন অতিবাহিত হবার পর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ শুরু করেন। দিন দিন তার খারাপ ব্যবহার আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে তুই তোকারি,চোর, তথ্য পাচারকারী,শারীরিকভাবে হেনস্তার হুমকি, ছোট জাত বলে গালা-গালি করেন এবং চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিয়ে থাকেন। তিনি ইতিমধ্যে বহু কর্মচারী চাকরি খেয়েছেন। খারাপ ব্যবহার করার সময় তিনি আশেপাশের পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করেন না। যার তার সামনে এ ধরনের খারাপ আচরণ করে থাকেন।
কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভিন্ন শিক্ষকদের পদোন্নতির সময় তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে না রেখে মাঠ পর্যায়ের লোকজন ইন্সট্রাক্টর সাইফুল ইসলাম ও অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান- কে তার রুমে নিয়ে এসে পদোন্নতির নোট,ফাইল, রেজুলেশন ও পদায়নের সকল প্রস্তাব প্রস্তুত করতেন যা সচিবালয়ের নির্দেশনা ও ফাইল প্রস্তুতকরণ নীতিমালার পরিপন্থী কাজ।
ফলে মাঠ পর্যায়ে বিভাগের পদোন্নতি সকল তথ্য ফাঁস হয়ে যেত। যা পরবর্তীতে তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে কর্মচারীদের নামে চাপিয়ে দোষারোপ করতেন।
এভাবে তিনি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ৫৫০-৬০০ শিক্ষকদের পদোন্নতি করেন। যার কারণে বঞ্চিত শিক্ষকগণ মহামন্য হাইকোর্ট বিভাগে পিটিশন দায়ের করেন যা কনটেস্পট এর পর্যায়ে আছে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ইন- হাউজ প্রশিক্ষণে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ব্যাপক সমালোচনা করেন।
২০তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা যুগ্ম সচিব জনাব হাফসা বেগম আওয়ামী লীগ সরকারের দোষর হয়ে এখনো কারিগরি ও মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগে কাজ করে যাচ্ছেন।তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাংঙ্গা উপজেলায়।তিনি বিগত সরকারের আমলে ১৫ বছর গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুর এর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের একান্ত ঘনিষ্ঠ আমলা হিসেবে দাপট নিয়ে বেরিয়েছেন ও সবাইকে কোনঠাসা করে রাখতেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকারের পেশী শক্তি ব্যবহার করে সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। এক পর্যায়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরানোর জন্য আন্দোলন করে ও কর্ম বিরতি দিলে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বদলি করতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি আবার সেই আগের মত কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের অতিষ্ঠ করে ফেলেন।অতিষ্ঠ হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাকে সরানোর জন্য আন্দোলন করলে তাকে বদলি করে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে পদায়ন করা হয়।
কারিগরি ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা তার ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে গত ১২ই সেপ্টেম্বর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে আন্দোলন করেন এবং সচিবের কাছে অপসারণের জন্য দাবি জানান। তবে এ বিভাগের সচিব ড.ফরিদ উদ্দিন আহমেদ কর্মচারীদের এ দাবি উপেক্ষা করেছেন বলে কর্মচারিদের অভিযোগ।
এবিষয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, “কর্মকর্তা কর্মচারিরা আমার কাছে এসেছিলেন আমি তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব”
জুলাই-২৪ শহীদদের স্মরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা ও সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের...