দীর্ঘদিন ধরে ম্যাগনেটিক পিলার বিদেশে বিক্রির কথা বলে কৌশলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করছে একটি প্রতারক চক্র।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাতে চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকার কলসি দীঘির পাড় রেল বিট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মো. জুয়েল ও মো. আজম।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ম্যাগনেটিক পিলার বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগে তিনজন থানায় আটক আছে। এদের মধ্যে দু’জন ম্যাগনেটিক পিলার বিক্রির নামে প্রতারক চক্রের সদস্য বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরেকজন ভুক্তভোগী না প্রতারক, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতারকরা প্রচার করেছে- ম্যাগনেটিক পিলার বিদেশে বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাগুলো বিভিন্ন ব্যাংক ও ব্যক্তির একাউন্টের মাধ্যমে দেশে আনা হবে বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা করেছে চক্রটি। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী।
মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, ৪০ জনের অধিক ব্যক্তি চক্রটির প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পেয়েছি। চক্রটির বিষয়ে তদন্ত চলছে। এদের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি-না সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য যে, ম্যাগনেটিক পিলার বা রাইস-পুলার পিলার ভূমির সীমানা নির্ধারণের জন্য বসানো হয়েছিল ব্রিটিশ শাসনামলে। এর বজ্রনিরোধক শক্তিও ছিল। লোভে পড়ে মানুষ পিলারগুলো সরিয়ে নিয়েছে, ফলে দেশে বজ্রপাতে প্রাণহানিও বেড়েছে। ম্যাগনেটিক পিলার নিয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশ ও ভারতে।