আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি।
আখাউড়ায় স্ত্রীকে হত্যা মামলায় আব্দুল হামিদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোবাইল দেখা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে প্রাণ দিতে হলো নববধূ তাছলিমা আক্তারকে। এ ঘটনায় স্বামী আব্দুল হামিদকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে।
হামিদ উজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। বিয়ের ৫ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করে। ওই দিন রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে হামিদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
আব্দুল হামিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তিনি জানিয়েছে তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো এবং অন্য ছেলের সঙ্গে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল তার। হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে ফোন ধরতে নিষেধ করা হয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়।
ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসীছেলে হামিদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
মঙ্গলবার দুপুরে হামিদের বাড়িতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা গিয়ে দেখেন বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আরমান আরিফ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় ফকির মোড়া বিজিবি ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা আসামিকে আটক করেছে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।