সংরক্ষণ করতে হবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো মেয়র আতিকুল ইসলাম
দেলোয়ার হোসেন
অাজ (২৬ মার্চ ২০২৩) রোজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে জল্লাদখানা বধ্যভূমিতে এসটিএস গ্রাফিটি আর্ট ওয়ার্ক এবং 'মুক্তির সবুজায়ন' শীর্ষক বৃক্ষরোপণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শুরুতে মেয়র উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মঞ্চে নিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, 'বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা, পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমি মেয়র, তাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা কাউন্সিলর ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হতে পেরেছি। তাই সবার আগে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পাবেন তারপর অন্যরা।'
উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অন্যতম স্থান ‘মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি’কে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক ও সবুজ শিশু বান্ধব গণপরিসর গড়ে তোলার লক্ষ্যে ডিএনসিসির উদ্যোগে শক্তি ফাউন্ডেশন এবং মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জল্লাদখানা স্মৃতিসৌধের বিপরীতে পরিত্যক্ত জমিতে ছোট বড় মিলিয়ে সর্বমোট ১০০০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। শিশুদের জন্য উন্মুক্ত খেলার জাগায় লাগানো হয়েছে সবুজ ঘাস। এছাড়াও দুর্গন্ধ যুক্ত ও দৃষ্টিকটু আবর্জনা ডাম্পিং করার সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) কে বিখ্যাত কার্টুনিস্ট সৈয়দ রাশাদ ইমাম তন্ময় এবং সহশিল্পীরা সাজিয়েছেন নতুন সাজে।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, 'মিরপুরের জল্লাদখানা বধ্যভূমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। এখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তাক্ত ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত জল্লাদখানা বধ্যভূমিকে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব।'
তিনি বলেন, 'আমি দায়িত্ব নেয়ার আগে দেখেছি এই জায়গায়টায় নেশার ও ময়লার অভয়ারণ্য ছিল। দায়িত্ব নিয়ে সবার সহযোগিতায় আমি সিটি কর্পোরেশন থেকে পরিত্যক্ত এই জায়গাটিকে নান্দনিকভাবে সাজিয়েছি। এখন এই এলাকার জনগণের দায়িত্ব হবে জায়গাটিকে রক্ষণাবেক্ষণ করা।
অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে উল্লেখ্য করে মেয়র বলেন, 'পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেমন আমাদের শত্রু ছিল। আর এখন মাঠ, পার্ক ও খালের জমি দখলদাররা আমাদের শত্রু। এসব ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আমাদের কথা বলতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে হলে মাঠ ও পার্কের বিকল্প নাই। খেলার মাঠকে প্লট আকারে বরাদ্দ দিয়ে ভবন নির্মাণ করা যাবে না।