

নাছির উদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার, মিরসরাই
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন ছোট ভাই মাহতাব উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কর্তৃক কতিপয় সামাজিকযোগাযোগ ও গণমাধ্যমে অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সকালে ভুক্তভোগি ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার এলাকায় ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণসম্পাদক ও ব্যবসায়ী তাইফ উদ্দিনের নিজ বাড়ীতে উক্ত সংবাদ সংম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তাইফ উদ্দিন লিখিত অভিযোগে বলেন, তারআপন প্রবাসী ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর বেপরোয়া জীবন যাপনে তারা পারিবারিক সম্মানহানী হচ্ছে। এর জন্য তাইর ভাইয়ের কাছে একাধিকবারজানিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি তারা। বরং সে তার স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে কথা বলে। বিভিন্ন সময় তার এই বেপরোয়া আচরণের জন্য তাকেপারিবারিক ভাবে সতর্ক করা হলেও সে কোন তোয়াক্কা করেনি। উল্টো রাতের আঁধারে চুপিসারে তাদের ঘরের আঙিনায় এসে তাদের ব্যক্তিগতকথা মোবাইলে রেকর্ড করে তা বিভিন্ন লোকের কাছে প্রচার করে। গত ৪ জুন আনুমানিক সাড়ে ১১ টার সময় তাদের ঘরের পেছনে এসে মোবাইলেতাদের পারবারিক কথা রেকর্ডিং করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে। এসময় এঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেএবং মামলা দিয়ে জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়। পরে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আহত হয়। এই আহত হওয়াকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানেআমাদের সম্মানহানীর লক্ষে আমাদের নামে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এতেও সে ক্ষান্ত না হয়ে বিজ্ঞ আদালতে আমাদের নামে মামলা দায়েরকরে। পরে সে অভিযোগ করে তাকে বাড়ীতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ ঘটনার পরেও সে এখানে এসে তার ঘর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র বাবারবাড়ীতে নিয়ে যায়।
আরও বলেন, এছাড়াও আমাদের স্থানীয় কিছু আওয়ামীলীগের নেতার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সে এমন নেক্কার জনক কাজে লিপ্ত রয়েছে। আমাররাজনৈনিতক কিছু প্রতিপক্ষ আমার ক্ষতিসাধন করার জন্য তাকে ব্যবহার করছে। আমরা এই মিথ্যা মালায় হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে ওপারিবারিক সম্মান বজায় রাখতে তার উপযুক্ত বিচার দাবী করছি এবং এই অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার রাতে প্রথমে তাইফ উদ্দিন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।পরে তার ভাইয়ের স্ত্রী আমার ঘরে এসে বিষয়টি জানায়, এসময় তার চোখের উপরে যখম ছিলো কিন্ত এই যখম কিভাবে হয়েছে তা আমি জানিনা। ঘটনার বিষয়ে মামলায় আমাকে সাক্ষী করা হয়েছে অথচ আমি কিছুই জানি না। পরে তার বাবা মা ঘটনাস্থলে আসলে সে তাদের সাথেবাড়ী চলে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জান্নতুল ফেরদৌস বলেন, ওইদিন অহেতুক তারা আমাকে গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারাসবাই মিলে আমাকে মারধর করে জখম করে। আমি এঘটনায় মামলা দায়ের করেছি।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন বড় ভাই গিয়াস উদ্দিন, মেঝো ভাই খায়ের উদ্দিন, বড় বোন শরীফা, মেঝো ভাবী শিরিনা বেগম, মেঝো বোনসেতারা বেগম, ছোট বোন ঝর্না, ভাতিজা নাজিম উদ্দিন, তাইফ উদ্দিনের স্ত্রী বিবি মরিয়ম। এলাকাবাসী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সরওয়ার, সাইফুল, জাকিয়া, মর্তুজা, হান্নান, কাদের, এয়াহিয়া প্রমুখ।