

নাছির উদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গরু চুরি করে পালানোর সময় গরুসহ ৩ চোরকে আটক করেছে মিরসরাইথানা পুলিশ। এসময় চোরাই গরু ও চোরদের কাছে থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত (১৯ আগস্ট) মধ্যরাত ২ টা ৩০ মিনিটের সময় মিরসরাই থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম আরমান সঙ্গীয়ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা এলাকার ১১ নং মঘাদিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের তিনঘড়িয়া টোলার খন্তাকাটা ব্রীজেরপাশ থেকে উক্ত গরু চোরদের আটক করা হয়।
জানা যায়, মঘাদিয়া এলাকা থেকে ২টি গরু একটি পিকাপে করে সংঘবদ্ধ চোরের দল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ সড়কেব্যারিকেট দিয়ে তাদেরকে আটক করে। এসময় পিকাপের পেছনে থাকা কয়েকজন চোর পালিয়ে গেলেও চালক ও তার পাশে বসাচোরগুলোকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে ধৃত চোরদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সাথে থাকা অন্য চোরদেরকেও অভিযান চালিয়েআটক করে পুলিশ। আটককৃত চোরেরা হলো নোয়খালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আলি পুর গ্রামের মেন্দি মিয়ার বাড়ীর মৃতআবদুর রহিমের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৯), একই এলাকার এখলাছ পুর গ্রামের কালা মিয়া চৌকিদার বাড়ীর মো: বাদশার ছেলেমো: রিয়াজ (২৯), মিরসরাই থানাধীন ১০ নং মিঠানালা ইউনিয়নের বানাতলী গ্রামের জাফর আলীর বাড়ীর মৃত ছিদ্দিক আহমদেরছেলে মো: আবুল বশর (৬০), এদের কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী এলজি, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, একটি ধারালো কিরিচ এবং ২ লাখ ৫০হাজার টাকা মূল্যের ২টি দেশীয় গরু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকাপ (চট্ট মেট্টো ড, ১১-২৩২৮) জব্দ করাহয়। পরবর্তিতে অভিযান চালিয়ে গরু চুরির সাথে যুক্ত বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার চিলমারি গ্রামের উকিল বাড়ীর জাকিরহোসেনের ছেলে আল আমিন (৩৩), নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর থানার তোতা মিয়ার বাজার গ্রামের মাঈন উদ্দিন মেস্ত্রী বাড়ীর মাঈনউদ্দিন মেস্ত্রীর ছেলে মো : সুমন (৩৫) এবং ফেনী জেলার ফেনী থানার লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের সন্তোষ ডাক্তারেরবাড়ীর মৃত হরেন্দ্র চন্দ্র নাথের ছেলে বিমল চন্দ্র নাথ (৫৫)। এরা সবাই বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়ায় থাকতো।
শনিবার সকালে মিরসরাই থানা কার্যালয়ে মিরসরাই সার্কেল এএসপি মনিরুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিং করে বলেন, মিরসরাই থানা এলাকাথেকে গরুসহ সঙ্গবদ্ধ একটি চোর চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের কাছে থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় পুলিশবাদী হয়ে চুরি এবং অস্ত্র আইনে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদেরকেআদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।