
নাছির উদ্দিন, সিনিয়র রিপোর্টার, মিরসরাই : ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি আর সপ্তাহ খানিক পরেই অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পবিত্র ঈদুল আযহা।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী (২৯ জুন) বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহার বৈশিষ্ট হলো- মহান আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে, তার নৈকট্য হাসিলের জন্য পশু কোরবানি করা।
কোরবানির হালাল পশুর তালিকায় রয়েছে- গরু, মহিষ, ভেঁড়া, বকরি, উট, দুম্বা। তবে বাংলাদেশে বড় পশুর মধ্যে গরু মহিষের পাশাপাশি উট কোরবানি হলেও দুম্বা কোরবানি করা দুস্কর। এদিকে আসন্ন ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে মিরসরাইয়ে বসছে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলে মোট ১৫ টি পশুর হাট। হাটগুলোর মধ্য অন্যতম হলো- বারৈয়ারহাট, কয়লা বাজার, জোরারগঞ্জ, চৌধুরী হাট, শান্তিরহাট, আবুরহাট, মিঠাছরা, বামন সুন্দর দারোগারহাট, মিরসরাই, আবু তোরাব, বড়তাকিয়া, বড় দারোগারহাট। বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলার কয়েকটি হাটে কোরবানির পশু বিবিকিনি শুরু হবে। প্রথম দিকে হাটে পশু তেমন না উঠালেও শেষের কয়েকটিতে পশুতে ভরপুর থাকবে হাটগুলো।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, মিরসরাইয়ে এবছর পশু কোরবানির চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। আর উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় খামারে এবং কৃষকের ঘোয়ালে পশু রয়েছে ৬০ হাজার। সে হিসেবে চাহিদার চেয়ে আরো বেশি পশু মজুদ রয়েছে এখানে। মিরসরাইতে বড় আকারের পশুর খামার রয়েছে ১২ শত।
এদিকে পশু লালন-পালন খাদ্রমুল্যের বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক খামারি বলেন, পশু কেনা থেকে এবং বছর জুড়ে পশু খ্যাদ্যের মূল্য বেশি থাকায় পশুর দাম হিসেব করলে অনেক বেশি হয়। সে হিসেবে বাজারের অবস্থা বুঝে তারা পশু বিক্রি করবেন। হয়তো লাভ হবে না হয় লোকশান গুনতে হবে। তবে সংকা প্রকাশ করে তারা বলেন, মিরসরাইতে যে সকল পশু মজুদ রয়েছে সেঅনুযায়ী বাজারে মোটামুটি লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা করছেন। কিন্ত পাশ^বর্তি দেশ থেকে পশু আসলে তাদের লোকসানের অন্ত থাকবে না। বাজারে অতিরিক্ত পশু তাকলে তখন দাম এমনিই কমে যাবে। এদিকে পশু কোরবানি দাতারাও কেউ একক বা শরীকে জোট বাঁধছেন পশু ক্রয় করার জন্য। সাধ্যমত বাজেট করছেন কত টাকার মধ্যে পশু কেনা যায়। সব মিলিয়ে সরগরম হচ্ছে কোরবানির পশুর বাজার।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই প্রাণী সম্পদক কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ বলেন, মিরসরাইয়ে এবছর কোরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে বেশি পশু মজুদ রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত খামারিদের সাথে যোগাযোগ রাখছি তাদের গবাদি পশুর যে কোন রোগ বালাইয়ে পরামর্শ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। তাছাড়া প্রতিদিন প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে আমাদের অফিস থেকে একটা মেডিকেল টিম থাকবে। যাতে বাজারে অসুস্থ পশু চিহ্নিত করা যায় এবং কোন পশু অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রত যাতে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা যায়।