মিরসরাই প্রতিনিধি, নাছির উদ্দিন : মিরসরাইয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড কর্তৃক অনাবাদি পতিত জমিতে শিশুদের জন্য প্লে–জোন ওখাবারের হোটেল ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে ভুক্তভোগি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
বুধবার (৭ জুন) সকালে উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছরা ইউনিয়নের ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে খৈয়াছরা ঝর্ণার সড়কের মুখে ভেঙ্গেফেলা স্থাপনার মধ্যে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় ভূক্তভোগি পূর্ব খৈয়াছরা ইউনিয়নের বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক ও শিশু বিনোদন উদ্যোক্তা সুকান্ত কুমার রায় লিখিত বক্তব্যে বলেন, “আমার নিজ গ্রাম খৈয়াছরা এলাকায় প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঝর্ণা দেখতে আসে। তাদের জন্য ভাল মানের খাবার হোটেল ও শিশুকিশোরদের বিনোদনের জন্য আমার নিজস্ব অনাবাদি পতিত ৩০ শতক জমিতে মাটি ভরাট করে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করি। এরমধ্যউপজেলা চেয়ারম্যান অফিস থেকে আমাকে একটি নোটিশ করে। পরবর্তীতে নোটিশ অনুযায়ী সরকারী সকল নিয়ম মেনে ভবনের নকশা এবংভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের অনুমোদন নেয়া হয়। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ক্যাফেটির নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু এতদিন আমাকে উক্ত ভবন নির্মাণের বিষয়ে কোন প্রকার বাধা প্রদান করেননি এসিল্যান্ড। সম্প্রতিকতিপয় সাংবাদিক নামধারী লোক আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে আসছে। তাদের চাহিদামত টাকা না দিলে আমার ক্ষতিসাধনকরবে বলে হুমকি ধমকি প্রদান করে।
আরও বলেন, কয়েকদিন পূর্বে মিরসরাইয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান আমার জমির কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমিতাকে সকল কাগজপত্র প্রদান করি। কিন্তু সহকারী কমিশনার (ভূমি) এই জমিকে কৃষি জমি বলে গতকাল মঙ্গলবার আমাকে কোন প্রকার নোটিশনা করেই স্কেভেটর দিয়ে আমার স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেন। এতে আমার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়–ক্ষতিহয়েছে। আমার পিতার সময় থেকেই আমরা দেখে আসছি এটি একটি পরিত্যক্ত ডোবা বা মজা পুকুর। উক্ত জমির আরএস এবং খতিয়ানেরদাগে পুকুর উল্লেখ আছে এবং জমির অবস্থাও তাই। কিন্তু বিএস দাগে অজ্ঞাত কারণে তা নাল জমি লিখা রয়েছে। বিএস দাগে জমির শ্রেণিপরিবর্তনের কথা উল্লেখ থাকলেও সরেজমিনে কিন্তু আরএসের মতই রয়েছে। এখানে মাছ চাষও হয় না আবার কোন ফসলও হয় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মিজানুর রহমান বলেন, সুকান্ত কুমার রায়ের অনুমোদন পত্রটি ভূয়া, আমিনিজে তাকে সরেজমিনে গিয়ে বলে আসছি। কিন্তু এরপরেও উনি নির্মাণ কাজ করায় যথাযথ আইন মেনে তা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। ভূয়া কিভাবেজানলেন এমন পশ্নে তিনি বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি উনি আমাকে জানিয়েছেন। ভবনের নকশায়উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীদের অনুমোদনকৃত সীলসহ স্বাক্ষর রয়েছে কিভাবে এমন পশ্নে তিনি বলেন, তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিনের কাছে জানতে চেয়ে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।