পটুয়াখালীর বাউফলে মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযানে ২২ অক্টোবর ১২ জন জেলেকে আটকসহ ৮০হাজার টাকা মূল্যের ৪হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেছেন, ইলিশ মাছ শিকারের দায়ে নিষিদ্ধ জেলেদের ধরতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মৎস্য দপ্তর, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ।
তিনি আরো বলেন- মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে থাকি, আমরা জেলেদেরকে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছি যাতে করে তারা মা ইলিশ শিকার থেকে বিরত থাকে এবং নদীর পারে কোন প্রকার জাল ও নৌকা যেন না রাখে সে ব্যাপারেও জেলেদের কঠোর হুশিয়ারী করেছেন এই কর্মকর্তা।
মৎস্য দপ্তর, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ এর যৌথ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য দপ্তর বরিশাল বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলী রুবেল মিয়া,সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউল হাসান সৌরভ , পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার,কালাইয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান, মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম, সহ কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আটককৃত জেলেদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল, ২ জনকে জনকে জরিমানা এবং ৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদেরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয় এবং জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম তালুকদার বলেন – ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত সারা দেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অভিযান সফলের লক্ষ্যে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে আমাদের টিম।
তিনি আরও বলেন-১১ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে ২২ অক্টোবর সন্ধা পর্যন্ত ১৯টি টি অভিযানে ১১ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে১৯জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল, ৬ জনকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা ও১১লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা মূল্যের৬০ হাজারমিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।