
খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
তালায় আওয়ামিলীগের সময় আওয়ামী লীগ বিএনপির সময় বিএনপি এরাই সুবিধা জনক অবস্থানে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা উভয় দলের কাছে বঞ্চিত। বিগত ১৭ বছর হামলা মামলা জুলুমের শিকার যারা তাদের থেকে বড় প্রভাবশালী নেতা এখন হাইব্রিডরা। বিগত সরকার পতন হয় হাজার হাজার মানুষের জীবনের বিনিময় জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এদের কারণে । এক্ষুণে ওই প্রতারকরা বিএনপি’র ব্যানারে নেতৃত্ব দিচ্ছে। চাঁদাবাজি জুলুম দোকান ভাঙচুর লুটপাট মানব পাচার শত অপকর্ম চালাচ্ছে এরা। সন্ত্রাসী ফারুক জোয়াদ্দারের আনিসা ক্লিনিকে বসে যুবলীগের সভাপতি চেয়ারম্যান সরদার জাকির কে এখনো বহাল তবিয়াতে দায়িত্বে পালন করছেন। এই ফারুক জোয়ারদার বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের।
সূত্র জানাই, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট জনযোদ্ধা এম এল ফারুক চৌধুরী নেতৃত্বে তালার এনজিও ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা শেখ ইয়াকুব আলী, তার মাদকাসক্ত পুত্র শাহনেওয়াজ কবির শাওন এনজিওর অন্তরালে যে বিগত ১৭ বছর ধরে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে তালাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে তাদের স্বার্থে। তাদের উপরে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সে কারণে সন্ত্রাসীদের তারা লালন করে। বিগত ১৭ বছরের বাহিনীকে ৫ ই আগস্ট তারিখের পর সেই বাহিনী এখন অন্তরালে । বর্তমান সন্রতাসী ফারুক জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে রয়েছে তারা। সন্ত্রাসী ফারুক জোয়াদ্দার বিদেশে মানব পাচারের নামে দুই কোটি টাকা ২৮টি পরিবার নিকট থেকে নিয়ে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ফাউন্ডেশন আনিসা ক্লিনিক ও বিলাস বহুল বাড়ি তৈরি করেছে।
২৮ জনের নেতা মোঃ মনিরুল ইসলাম কাজে জানান, সাংবাদিকদের নিকটে সাক্ষাৎকার দেওয়ার কারণে তাদের এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকা দেবে না বলে ইতিমধ্যে হুমকি প্রদান করেছে ফারুক জোয়াদ্দার। সন্ত্রাসী ফারুক জোয়াদ্দার ইতোমধ্যে এনজিওদের সহযোগিতায় কিছু তাবেদার সাংবাদিক দিয়ে তালা প্রেসক্লাব দখল করে নিজেকে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে পত্রিকায় ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে। সে বিগত সময় আওয়ামীলীগ নেতাদের সন্তুষ্ট রাখতে নিজের দ্বিতীয় কন্যা ফারিয়া খাতুন(৮) কে দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ক্ষমতাচ্যুত পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে বিজয় দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেশে প্রতিকী প্রধানমন্ত্রী সেজে ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে অভিনয় করে। সন্ত্রাসী ফারুক জোয়াদ্দার ও ছাত্র দলের তালা থানার ছাত্র দলের আহবায়ক হাফিজুর রহমান দু,জন আত্মীয়। ফারুক জোয়াদ্দারের মামা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার জাকির হোসেন ও সন্ত্রাসী দ্বারা ভোট কেটে চেয়ারম্যান হয় তালা সদর ইউনিয়নে। আরেক মামা তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ও লুৎফর নিকারী হত্যা মামলার আসামী সরদার মশিয়ার রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা সরদার গোলজার তার মামা। সে বিএনপি করলেও বিগত সময় মামাদের সাথে থেকে নৌকার পক্ষে সব ভোট করে এবং কন্যাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে স্বর্ণের নৌকা বুকে লাগিয়ে প্রতীকি প্রধানমন্ত্রী সেজে অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগের প্রশংসা কুড়ান এবং তার নামে একটা মামলা হয়নি। মামারা তাকে শেল্টার দিয়ে রেখেছিল। ঠিক পাঁচ তারিখ বিকেলে তার আনিসা ক্লিনিকের থাকা চারটি দোকান ঘর ভেঙ্গে ধুলিস্যাৎ করে ৩০/৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয় সে ও তার বাহিনী। চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী জমি দখল এবং পুরাতন সন্ত্রাসী চরমপন্থীদের পুনরায় সংঘটিত করতে থাকে সে। এনজিও শেখ ইয়াকুব আলী জন্মের পর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দলের নেতা হিসাবে নেপথ্যে থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। পুরাতন টিম বাদ দিয়ে বর্তমান ফারুক জোয়ারদার নেতৃত্বে ওই এনজিওর অর্থায়নে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি তালায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এনজিও কর্মী, ৩০ কেজি চাউলের কার্ড, খাস জমি বিতরণ, সরকারি সুবিধা দেওয়ার প্রলোভনসহ প্রতিজনকে ৩০০ টাকা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মিথ্যা মানববন্ধন মিছিল করে। পূর্বে মামাদের শেল্টারে থেকে তালায় সন্ত্রাসী চালিয়েছেন সমান তালে এখন নিজে বিএনপি’র তালার কর্ণধার সেজে মামাদের রেখেছেন বহাল তবিয়াতে যেমন, তালা সদরের চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি সরদার জাকির হোসেন ফুরফুরে মেজাজে নিবিঘ্নে দায়িত্বে পালন করছেন। বিগত সরকারের নেতাকর্মীরা তার শেল্টারে রয়েছে বহাল তবিয়াতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার মামা সরদার জাকির এখন তালা সদরের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন কোন গ্রেফতার নেই, মামলা নেই তাদের নামে। বরং যারা প্রকৃত বিএনপি করে ১৭ বছর হামলা মামলার স্বীকার,ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কিন্তু কিছু ত্রুটি আছে তাদের পুলিশ দিয়ে সন্ত্রাসী ফারুক জোয়াদ্দার থেকে তাদের গ্রেফতার করানো অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির ত্যাগী নেতাদের দাবী ফারুক জোয়াদ্দারের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিএনপি রুখতে না পারলে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থীকে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।