
মোঃ আলমগীর হোসাইন, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মানুষ নামক সৃষ্টির সেরা জীবটিকে সৃষ্টি করা হয়েছে দেহ ও মনের এক অপূর্ব সম্মেলনের মাধ্যমে। মানুষের উন্নতি ও উৎকর্ষতা বলতে মূলত শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রের ভারসাম্যপূর্ণ অগ্রগতিকেই বোঝানো হয়।
আর ইসলাম হলো আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কর্তৃক মনোনীত একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এই জীবন বিধানের মাধ্যমে প্রকৃতপক্ষে মানুষের জীবনের সার্বিক বিষয়াবলী নিয়েই দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
ইসলাম শুধু ঈমান বা বিশ্বাসের কথাই বলে না, বরং এর পাশাপাশি সব ধরনের ব্যবহারিক আচরণ নিয়েও কথা বলে। ইসলাম মানুষের আধ্যাত্মিক এবং বৈষয়িক সকল বিষয়েই পথ নির্দেশনা দেখায়।
আর জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্য হলো আল্লাহ প্রদত্ত এবং রাসুল (সা:) প্রদর্শিত বিধান অনুযায়ী মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ও পর্যায়ে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা। জামায়াতে ইসলামী সকল মানুষকে, বিশেষ করে মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানায় এবং কুরআনের ভাষায় তাদেরকে দাওয়াত দেয়, “হে মানবজাতি, তোমরা আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করো। আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই, মাবুদ নেই।”
জামায়াতবদ্ধ জীবনের গুরুত্ব:
ইসলাম কায়েমের এ মহান দায়িত্ব একা একা পালন করা নবীর পক্ষেও সম্ভব ছিল না। তাই যারাই নবীর প্রতি ঈমান এনেছেন তাদেরকেই সংঘবদ্ধ করে নবীগণ ইসলামী আন্দোলন করেছেন। যে সমাজে ইসলাম কায়েম নেই সেখানে ব্যক্তি জীবনেও পুরোপুরি মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করা কঠিন। আর আল্লাহ্র দ্বীনকে সমাজ জীবনে কায়েম করার কাজ তো জামায়াতবদ্ধভাবে ছাড়া কিছুতেই সম্ভব নয়।
নবী কারীম (সা.) বলেছেন, মেষের পাল থেকে আলাদা একটি মেষকে যেমন নেকড়ে বাঘ সহজেই ধরে খায়, তেমনি জামায়াত থেকে বিচ্ছিন্ন একজন মুসলিম সহজেই শয়তানের খপ্পরে পড়ে যায়। তাই
জামায়াতবদ্ধ জীবনই ঈমানের অনিবার্য দাবী।
জরুন, কোনাবাড়ী, পেয়ারাবাগান ৭নং ওয়ার্ড ইউনিট সভাপতি জনাব, মোঃ
রুবেল রানার নেতৃত্বে মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ নাজিম উদ্দীন, মোঃ আব্দুল লতিফ, এবং মোঃ সালে মাহমুদ এর সার্বিক তত্বাবধানে বাদ মাগরিব হইতে বাদ এশার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত এ দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্পূর্ণ করেন।