চট্টগ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শহীদ রুমী স্কোয়াড আলোচনায়,প্রেরণায় শিশু কিশোরদের সাথে গভীর শ্রদ্ধায় “মাদাম কুরি” জীবন, দর্শন ও কর্ম স্মরণ করেছে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ষোলোশহর রুমি স্কোয়াড বিদ্যা নিকেতন কার্যালয়ে এই স্মরণসভা আয়োজন করা হয়। বিজ্ঞানী মাদাম ক্যুরির ৯০তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মরণে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা হালিমা, আসমা আক্তার, শিক্ষক ধ্রুব বড়ুয়া, জ্যোতিময়, এবং শিক্ষার্থীরা ।
সারা বিশ্বের বিজ্ঞানিরা আজও তাঁর প্রশান্ত মনোযোগ, গভীর আত্নবিশ্বাস ও মগ্নতা এবং আত্মমর্যাদার জন্য তাঁকে স্মরণ করেন। এমন আত্নোৎসর্গোকারী বিজ্ঞানী পৃথিবী কমই পেয়েছে। এর জন্য তাকে কম মূল্য দিতে হয়নি। তেজস্ক্রিয়তা নিয়ে জীবনভর কাজ করেছেন। ফলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন মারণব্যাধি অ্যাপ্লাস্টিক এনিমিয়ায়—যে রোগে অস্থিমজ্জা ধ্বংস হয়ে যেতে থাকে। ডাবল নোবেল পুরস্কারের চেয়েও বেশি সম্মানিত ছিলেন তিনি বিজ্ঞানীদের মধ্যে। ছিলেন কাউন্সিল দ্যু ফিজিক সলভ্যে বা ইন্টেলেকচুয়াল কো অপারেশন অফ লিগ অফ ন্যাশনসের মতো সংগঠনের সম্মানিত আজীবন সদস্য। পেয়েছেন রয়্যাল সোসাইটির ড্যেভি মেডেল। ইউরেনিয়াম রশ্মি বিষয়ক তাঁর থিওরির ওপরই গড়ে উঠেছে আজকের অ্যাটমিক ফিজিকসের ধারণা। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় তাঁর তৈরি এক্স-রে যন্ত্র পৃথিবীর বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। তাঁর মেয়ে আইরিন জোলিও কুরিও নোবেল পুরস্কার পান ১৯৩৫ সালে, স্বামী ফেডেরিক জোলিওর সঙ্গে যৌথভাবে।
বিশ্বের নারী বিজ্ঞানীদের পথিকৃৎ ও তাবৎ বিজ্ঞানীদের নমস্য মাদাম মেরি কুরির জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৯ সালের ৭ নভেম্বর। তিনি বলেছিলেন, কী করা হয়েছে সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে এখনও যা করা হয়নি, বাকি আছে, সেটা নিয়েই ভাবতে হবে!