মোঃ তারিকুল ইসলাম তুহিন, জেলা প্রতিনিধি,মাগুরাঃ
ফরিদপুর সুগার মিলস লিমিটেড এর কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্সদের বিরুদ্ধে নারীদের কে লাঞ্চিত, মারধর ও ঘর বাড়ি হামলার অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে , মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের বড়খড়ী গ্রামের আখসেন্টারের উত্তর পাশের মৃত একিন মুন্সির স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৫৫), ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রুবিনা খাতুন (৩০) ও মৃত কামাল হোসেনের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫৬) এর পরিবারের সাথে।
ভুক্তভোগী জানান সুগার মিলের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নির্দেশে সঙ্গীয় ফোর্স ও র্সিকিউরিটিরা আমাদের কে এসেই গায়ে হাত দিয়ে লাঞ্চিত করে এবং লাঠি দিয়ে মারধর ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করে,আমাদের বাড়িতে কোন পুরুষ ছিল না।
রবিবার ০১ ডিসেম্বর দুপুর ০১ টার সময় মারধরের ঘটনা ঘটে, ভুক্তভোগী জমির মালিক ইদ্রিস আলী জানান এই আখ সেন্টারের ভিতরের আমাদের ৩৭ শতক জমি দেওয়া, তারপরেও এই ফরিদপুর সুগার মিলের আখ সেন্টারের অফিসাররা আমাদের দখলীয় দীর্ঘ দিনের বসতবাড়ির ১৮ শতক জমিতে এসে জোরপূর্বক সিমানা পিলার পুতে দিচ্ছে এবং মিজানুর রহমানের নির্দশে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও আমার স্ত্রী মা ও শাশুড়িকে শারীরিকভাবে সিকিউরিটি দিয়ে মারধর করে এবং গায়ে হাত দিয়ে ধাক্কা মেরে পুকুরের ভিতর ফেলে দিয়ে পায়ে জখম করেছে। এই জমি দীর্ঘদিন মামলা শেষে মহামন্য বিজ্ঞ আদালত মাগুরা ১৮ শতক জমির রায় দিয়েছে আমাদের নামে । আমি আইন কে সম্মান জানিয়ে আইনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত করে মারধর করা ও জমি জোরপূর্বক দখলের সুষ্ঠু বিচার কামনা করি।
ভুক্তভোগী রুবিনা খাতুন দৈনিক সরেজমিন কে জানান সিকিউরিটিরা আমার বুকের ওড়না ধরে টেনে আমাকে ফেলে, লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং সিকিউরিটি গার্ড ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে ফরিদপুর সুগার মিলস লিমিটেড মহাব্যবস্থাক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা সিমানা পিলার পুততে এসেছি, আমরা কাউকে মারধর করিনি, এই বলে সুগার মিলের কর্মকর্তারা ও সিকিউরিটিরা গাড়িতে উঠে দ্রুত বড়খড়ির আঁখ সেন্টারের ঘটনা স্থান ত্যাগ করেন।