মশিয়ার রহমান টিংকু/মহেশপুরঃ
বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের জেলা ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন শ্যামকুড় ইউনিয়ন।এই ইউনিয়নের ভবনগর গ্রামে প্রায় অর্ধযুগধরে বিভিন্ন গাছগাছালি ও খেতেখামারে বিচরন করেআসছে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্তপ্রায় দুইশতাধিক কালোমুখি হনুমান।
প্রায় বছর পাঁচেক আগে পরিবেশ ও জীববৈচিত্রকে ধরেরাখতে স্ব-ইচ্ছায় অনুপ্রনোদিত হয়ে নিজ অর্থায়নে এই কালোমুখি হনুমানগুলির নিয়মিত খাদ্যখাবার খাওয়াতে শুরুকরেছিলেন ভবনগর গ্রামের নাজমুল হোসেন।পেশায় তিনি একজন সংবাদকর্মী,পাশাপাশি তিনি কৃষিকাজ’ও করেন নিজ জমিতে।কালোমুখি হনুমানগুলিকে নিয়মিত দেখাশুনা করতে করতেই সে একসময় এলাকায় পশুপ্রেমিক নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।
হনুমানগুলিকে আয় আয় বলে ডাক দিলেই তার কাছে নির্ভয়ে খাবার খেতে ছুটে আসে পাল ধরে।সেইথেকে হনুমানের সাথে ধীরে ধীরে সখ্যতা গড়েঠে নাজমুল হোসেনের।
বিভিন্ন মিডিয়া ও পত্রপত্রিকায় বিষয়টি উঠেএলে নজরে আসে মহেশপুর উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা গনের।গত ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়থেকে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকারিভাবে কিছু আর্থের বাজেট করাহয় এই কালোমুখি হনুমানের খাবার খাওয়ানোর জন্য।
পশুপ্রেমিক নাজমুল হোসেন জানান,হনুমানের জন্য প্রতিদিনের যে খাদ্যের বাজেট তা দুইশতাধিক হনুমানের জন্য খুবই স্বল্প বাজেট।যদি আরোকিছু খাদ্য বাড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে একদিকে যেমন একবেলা হলেও পেটপুরে খাবার পাবে হনুমানগুলি অপরদিকে এলাকার চাষীদের ফসলাদিতে হনুমানের উপদ্রবও কমেযাবে।পরিবেশের ভারসম্যরক্ষার পাশাপাশি দেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র রক্ষাপাবে বলে মনেকরেন এলাকাবাসী।