মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর বনানী থানাধীন মহাখালী সাততলার চাঁদাবাজ জগতের শীর্ষ অধিপতি ইলিয়াসের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে প্রতিনিয়ত বস্তির বাসিন্দারা নাজেহালের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।নিজের গড়ে তোলা অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন একক আধিপত্য বিস্তার করতে। সর্বত্র জুড়ে চলে তার অনিয়ন্ত্রিত তান্ডব কান্ড। দখলবাজি চাঁদাবাজি অস্ত্রের ঝনঝনানিতে দাপিয়ে বেড়ায় নিয়ন্ত্রণ এলাকা। তাদের দৌরাত্ম্যে বাসিন্দারা কোনঠাসা হয়ে পড়েছে।বস্তির দখলদারিত্ব তাঁর পৈত্রিক সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। এভাবে বস্তি এলাকায় গড়ে তুলেছে ২০০ শর বেশি ঘর।
বসবাসকারীরা ব্যবসা বাণিজ্য করতে গেলে সেখানে দাবি করা হয় মোটা অংকের চাঁদা। দাবিকৃত অর্থ না দিলেই অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে শুরু হয় চাঁদা আদায়ের কর্মযঞ্জ। সম্প্রতি চলতি মাসে এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে সাততলা বস্তি এলাকায়।যে ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন একজন বিধবা নারীসহ বেশ কয়েকজন। ঘটনার বিষয়ে বনানী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।মামলার এজাহার সূত্র বলছে চাঁদা না পেয়ে অস্ত্রধারী ইলিয়াস তার বাহিনী নিয়ে শিরীন নামে এক নারীর ভাংগারী দোকানে গিয়ে হামলা করে। হামলার সময় ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর মোবাইল ফোনে ধারণ করা ফুটেজে দেখা যায় চাঁদাবাজ ইলিয়াসের দুই হাতে দুটি দেশীয় অস্ত্র রয়েছে।তার হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে বেশ কিছু লোকজনকে গুরুতর আহত করে।এসময় শ্রমিক লীগ নেতা শামীম পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে অস্ত্রধারী ইলিয়াস ও তার বাহিনীর সদস্যরা তাকে চাপাতি দিয়ে জখম করে সাথে পনির,নাঈম, তানিয়াসহ আরো অসংখ্য ব্যক্তি গুরুত জখমের শিকার হয়। ঘটনার বিষয়ে বস্তির কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা বললে তারা বলেন,একসময়ের রিকশা চালক হয়ে উঠেন বস্তির অন্যতম নিয়ন্ত্রক।মূলত অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকায় যে সকল টিনশেড ঘরবাড়ি রয়েছে তাতে অবৈধ চোরাই গ্যাস লাইন রয়েছে।এই চোরাই গ্যাস সংযোগ নিয়ন্ত্রণ নিতেই শিরীন ও ইলিয়াসের সাথে বিরোধের সৃষ্টি হয়।স্থানীয় সূত্র আরো বলেন, কয়েক বছর আগে শিরীন এর স্বামী রফিক এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে হত্যার শিকার হন। তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে অসংখ্য বার জোরজবরদস্তি করে ইলিয়াস লাইন গুলো তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।একপর্যায়ে সম্পূর্ণ গ্যাস লাইনগুলো তার বাহিনী দিয়ে নিজের দখলে নিয়ে নেয়। ঘটনার সূত্রপাতে বনানী থানার চাঁদাবাজি মামলায় ইলিয়াস ও তার ভাই আল-আমিন কারাগারে থাকলেও তাদের নির্দেশে তার বাহিনীর অন্যতম সদস্য তার আপন দুই ভাই বাবুল ও রিয়াজ অদ্যবধি গ্যাস,পানি, চোরাই বিদ্যুৎতের লাইন নিয়ন্ত্রণ করছে।তাদের এমন অত্যাচারে বস্তির জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ বসবাসকারীরা।
সাততলা বিট ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে একটি চাঁদাবাজি অপর একটি কাউন্টার মামলা ।