মোঃ রিপন হাওলাদার/দেলোয়ার হোসেন
রাজধানীর মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সামগ্রী চুরির ঘটনায় থানায় জিডি করেছেন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক।
গত ৬ আগস্ট রবিবার সকাল আনুমানিক ৮ টার সময় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় স্টোরের সামনে থেকে ১৬ কার্টুন চিকিৎসা সামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মিজানুর রহমান উক্ত বিষয়ে বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন যাহার জিডি নং ৩৩৩ তারিখ ৬-৮-২৩ ইং।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সামগ্রী চুরির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত হতে তত্ত্বাবধায়কের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন ঘটনা সত্য,আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেছি।ডাইরির তদন্ত কর্মকর্তা মহাখালী সাত তলার বিট ইনচার্জ বিষয়টি তদন্ত করছে।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সিদ্দিক আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আমরা হাসপাতাল স্থাপিত সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করেছি।সিসি ফুটেজে হাসপাতালের একজন লিপ্ট ম্যান আল- আমিন এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আমরা তাকে আটক করেছি এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী চুরি হওয়া কিছু চিকিৎসা সামগ্রী উদ্ধার করেছি।বাকি সামগ্রী চিটাগাংয়ে তারা পাঠিয়েছে বলে ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে।আটক ব্যক্তি ও উদ্ধার সামগ্রী জব্দ করে থানায় পাঠিয়েছি। উক্ত বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় উক্ত হাসপাতালের একজন কর্মচারী সাগর চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে এখন লাপাত্তা। অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে দিদ্বাদন্দ চলছিলো। হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকার পরও কিভাবে এমন একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে।এ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সেবাগ্রহীতাদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
অনেকে বলছেন হাসপাতালের লোকজনের সম্পৃক্ততা ছাড়া এমন ঘটনা ঘটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
প্রধান গেটের সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন আনসার সদস্যের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, এই হাসপাতাল থেকে কোন মালামাল বের হলে চেক করার মতো কোন সুযোগ নেই কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের এমন কোন দিক নির্দেশনা কখনো দেইনি।
যে কারণে কোন মালামাল হাসপাতালে ঢুকলে বের হলে আমারা কখনো জিজ্ঞেস করিনা।
আর এ পর্যন্ত হাসপাতালে যতো মালামাল ঢুকেছে বের হয়েছে তার কোন গেট পাশ কখনো আমরা দেখিনি।যার ফলে আমাদের কোন রকম বুঝার সুযোগ নেই কোন মালামাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে বের হচ্ছে না চোর তা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।