ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় বিএডিসির গভীর নলকূপের যন্ত্রাংশ চুরি!! জনমনে ক্ষোভ উত্তেজনা!! থানায় এজাহার ব্যবস্থা কালক্ষেপন করছে ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ।
ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ মোঃ আমিরুল ইসলাম হীরাঃ ময়মনসিংহ জেলা, ফুলাবড়ীয়া উপজেলায়, গণপ্রজাতন্ত্রের সরকারের কৃষি প্রদর্শনীর সরকারী গভীর নলকূপ বেআইনীভাবে উত্তোলন করে বিক্রি করে দেবার স্পর্শকাতর ও জগন্য অভিযোগ উঠেছে। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ২নং- পুটিজানা ইউনিয়নের দেওগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগে প্রকাশ, কিছুদিন আগে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম চালু অবস্থায় বিগত সেচ মৌসুমে গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ লাইন ট্যান্সফর্মার, গিয়ার হেড, কলম পাইপ এমনকি পাম্প হাউসটি পর্যন্ত বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে ফেলে। দেখা গেছে, জঙ্গলে আবৃত উল্লেখিত গভীর নলকূপের আংশিক হাউজিং পাইপ ছাড়া আর কিছু নেই।
আত্মসাতের বিষয়টি ফুলবাড়ীয়া বিএডিসি (ক্ষুদ্র সেচ)-এর উর্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ রেজাউল করিম ১২.০৬.৬১.২০.৯৫১.২৭০০২.১৪.১৫৬ স্মারকে ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোঃ শাহিনুজ্জামান খান কাছে গত ৩০মার্চ /৩/ ২০২৩ইং তারিখে প্রেরণ করেছেন । যার শিরোনাম, সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎ-এর অভিযোগ প্রসংঙ্গে।
জানা গেছে, বিত্রডিমির আওতাধীন উল্লেখিত বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপটি পরিচালনা করতেন কিন্তু তার ব্যস্ততার কারনে নূরুল ইসলাম অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামকে গভীর নলকূপটির অপারেটর হিসেবে নিয়োগ দেন। ধারণ করা হচ্ছে সাইফুল ইসলাম এবং সাবেক ম্যানেজার নুরুল ইসলাম যুগপৎ যোগাযোগ করে রাষ্ট্রীয় প্রতারনাটি সম্পন্ন করেছে। এ নিয়ে স্থানীয় জনমতে চাপাখোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ঢাকাস্থ বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ-এর প্রধান প্রকৌশলী এবং ময়মনসিংহস্থ একই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর আদেশ প্রাপ্ত হয়ে দাপ্তরিকভাবে ফুলবাড়ীয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মোঃশাহিনুজ্জামান খান কাছে এ সংক্রান্ত এজাহার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর অভিযোগ তদন্তের জন্য এএসআই আলামিন কে দেয় এরপর তাৎক্ষণিক ভাবে তদন্ত করে ঘটনা সত্য প্রমাণিত হয়। এসআই আল আমিন কে জিজ্ঞেস করলেন বলে ঘটনা সত্য এ ব্যাপারে ওসির মোঃ শাহিনুজ্জামান খান ব্যবস্থা নিবে ওসিমোঃশাহিনুজ্জামান খানকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে ব্যবস্থা নেবে বলে কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না । সরেজমিনে তদন্ত করে জানাজা রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নিছেনা। প্রেরণ করা হয়েছে । এছাড়াও একই এলাকার হাজী মোঃ রজব আলীর পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম ময়মনসিংহের চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) বিএডিসি বরাবরে আত্মসাৎ সংক্রান্ত অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ক্ষুদ্রসেচ’এর সহকারী প্রকৌশলী জনাব জুলি আক্তার এবং ক্ষুদ্র সেচ’র রিজিয়ম ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব খাদিজা আফরোজ সরেজমিনে অভিযুক্ত অভিযোগ কারী সহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট তিন জন কৃষি অফিসার লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। স্থানীয় জনগণ গণদাবী জানাচ্ছে এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের জরুরী দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলকশাস্তি দাবী করেছেন।
এ দিকে সরেজমিনে দেখাগেছে সরকারী যন্ত্রাংশ হরিলুটের পরে অজ্ঞাত কারণে ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণে গড়িমসি করছে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে স্থানীয়বাসী মনে করছেন। জানাগেছে গত ১৫ জুন ২০২৩ ইং তদন্ত কৃত মামলাটির এ এআই আলামিন সত্যতা পরবর্তীতে ফুলবাড়িয়া থানায়ওসি মোঃ শাহিনুজ্জামান খান জানান, মামলাটির তদন্ত তিনি নিজে সম্পন্ন করবেন।এদিকে গত ১৮জুন ২০২৩ইং বিএডিসির উপসহকারীপ্রকৌশলী রেজাউল করিম ফুলবাড়িয়া থানায় যান এবং ওসি মোঃ শাহিনুজ্জামান খান তাকেএকথা জানান এবং বলেন পুলিশ সুপার মাসুম আহ্মেদ ভূঁইয়াওসি শাহিনুজ্জামান খান মামলাটি আই নানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ প্রদান করেন। জানাগেছে, এরিপোটি লেখা ফুলবাড়িয়ায় পুলিশ মামলাটির কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে গণদাবী জানাচ্ছে এলাকাবাসী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।