

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় দেওখলাবাজারের কেন্দ্রিয় মসজিদে অনিয়ম অব্যবস্থাপনা বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা
ময়মনসিংহ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ
ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার দেওখলা বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটি এবং সরকারী অডিটের মাধ্যমে সুষ্ঠু হিসাব নিকাশের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লী ও এলাকাবাসী। ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এই দাবী জানিয়ে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে আঁতাত করে ফখরুল উদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে দেওখোলা বাজার ভাঙচুর করে। দেওখোলা বাজারে ঘর মালিকের কয়েকশত কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। ৫নংদেওখোলা ইউনিয়নে ভূমি কর্মকর্তা ছিল এখন সে বর্তমান ভূমি কর্মকর্তা বিজয় দাস বর্তমান ৫নং দেখলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোছাঃফরিদা ইয়াসমীন নিশী আবার দেওখোলা বাজারভাংচুরের ষড়যন্ত্র চলছে বিভিন্ন মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সম্পত্তিকে সরকারী খাসজমি দেখিয়ে দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। জানাগেছে একটি ভূমি দখল চক্রের সাথে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নিশীর যোগসাজশ রয়েছে বলে আছে।
অপরদিকে জানা গেছে দেখলা বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ নুরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাইফুল ইসলাম বাদল নামে মাত্র দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত উল্লেখিত মসজিদের দায়িত্ব পালন করে আসছে ফলে দীর্ঘ সময়ের কারনে সভাপতি সম্পাদক যেমন স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে তেমনি ২৫ বছর যাবত দায়িত্ব পালনকারী সভাপতি ও সম্পাদক এই মসজিদের আর কয়েক কাম হিসাব নিকাশ মুসল্লীদের উপস্থিতিতে পেশ করেনি। তবে এই দুইশ বছরের এই মসজিদে বিভিন্ন সময়ে সরকারী বেসরকারী অনুদান, সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী। মসজিদ সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া বাবদ অগ্রিম বা এককালীন মাসিক ভাড়ার মাধ্যমে পরিচালিত হতে আসছে। মুসল্লীরা উল্লেখ করেন যেহেতু সরকারী সম্পত্তিতে এই বৃহৎ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত এবং অর্থনৈতিক কাঠামো ও অনেক শক্তিশালী। কাজেই এই মসজিদের অর্থনৈতিক হিসাব অডিট সেই সাথে পরিচালনার দায়িত্ব সরকারীভাবে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন অন্যথায় উল্লেখিত ভূমি দখলকারীদের খপ্পরে পড়ে যেকোনদিন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম দেখা দিতে পারে বলে পুশীল সমাজও পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
এব্যপারে সরেজমিনে জানা যায়, দেওখলা বাজার এলাকার মুসল্লীরা দুইশ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটিকে সুস্থ ভাবে চলার পথ সুগম করার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে সরকারী ভাবে অডিট হিসাব নিকাশ ওচ পরিচালন পদ্ধতি সুষ্ঠুভাধে পরিচালনার জন্য সরকারী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে জানা গেছে জেলা প্রশাসক সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নিয়ে মসজিদের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা দূর করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন উপজেলার সমবায় অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক ফরিদুল ইসলাম ও ফুলবাড়ীয়া উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তদন্ত কমিটি আজও আলোড় মুখ দেখাতে পারেন নি।