
মোঃ রিপন হাওলাদার:
ই-ব্যাংকের নামে মানুষের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
ভূক্তভোগীরা বলছেন,নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণা করে অসংখ্য লোকজনের কাছ থেকে কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে।অভিযোগ রয়েছে যে, নজরুল ইসলাম এই প্রতারণা চালিয়ে ইতিমধ্যে আনুমানিক ত্রিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।তার প্রতারণা কাজে বেশ কিছু লোক জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা বেশ কয়েকটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন,এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।একাধিক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন,তারা ই-ব্যাংকিং সেবা পেতে নজরুল ইসলামের কাছে বড় অঙ্কের টাকা পরিশোধ করেছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো সেবা পাননি।
এই বিষয়ে ভূক্তভোগীরা সাংবাদিকদের সহায়তা চাইলে বেশ কিছু গণমাধ্যম কর্মী ভূক্তভোগীদের সহায়তা করার জন্য উদ্যোগ নিবেন বলে জানিয়েছেন,তারা এর সুষ্ঠু সমাধানের শীঘ্রই উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি প্রদান করবেন, যাতে বিষয়টির উপর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং প্রতারকদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়। তারা আরো দাবি করেছেন যে, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আরও অনেক লোক তার প্রতারণার শিকার হতে পারে।
বিভিন্ন থানায় চলমান মামলার মধ্যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাজ করছে, এবং তাকে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, তারা শীঘ্রই বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি প্রদান করবেন,যাতে করে এই অপরাধের দ্রুত নিষ্পত্তি ও প্রতারকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। তাদের দাবি, প্রতারণার শিকার হওয়া মানুষের টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি, নজরুল ইসলামকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।
এদিকে, পুলিশও জানায়, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। ভুক্তভোগীরা আশাবাদী যে, উপদেষ্টা বরাবর চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এই প্রতারণা চক্রের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এখন পর্যন্ত যে সকল ভুক্তভোগী নজরুল ইসলামের প্রতারণার শিকার হয়েছেন, তারা সবাই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এবং দ্রুত তার শাস্তির দাবি করেছেন।
সরে/আর/এইচ