রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪

ভূমিহীন বৃদ্ধা রহিমা বেগমের পাশে দাঁড়ালেন হাতীবান্ধা ভারপ্রাপ্ত ইউএনও দুলাল হোসেন

Logo
Desk Report 2 বুধবার, ২৭ ২০২৪, ৮:৩১ অপরাহ্ণ

মো: নুর ইসলাম সবুজ,

লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশের পর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভূমিহীন সেই বৃদ্ধা রহিমা বেগমের পাশে দাঁড়ালেন হাতীবান্ধা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুলাল হোসেন।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে তিনি নিজে ওই বৃদ্ধা রহিমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেন এবং নগদ ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এ ছাড়াও তিনি বসবাসের জন্য ঘর, সোলার লাইট ও চিকিৎসা ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।

এ সময় হাতীবান্ধা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ভূমিহীন রহিমা বেগম (৭৭)। বিয়ের কয়েক বছর পর স্বামী বছর উদ্দিন মারা গেলে সেই অভিমানে আর বিয়ের পিঁড়িতে বসেননি তিনি। নিঃসন্তান আর নিঃসঙ্গ জীবন নিয়ে তিস্তা নদীর পাড়ে জরাজীর্ণ ঝুপড়ি ঘরে ঠাঁই হয়েছে তার। বয়সের ভারে চোখে ঝাপসা দেখা রহিমা প্রতিদিন সকাল হলেই কেউ খাবার নিয়ে আসবে সেই আশায় পথ চেয়ে বসে থাকেন। এলাকাবাসীর কেউ খাবার দিলে দু-মুঠো খেতে পারেন তিনি। তবে মাঝেমধ্যেই অনাহারেই থাকতে হয় বৃদ্ধা রহিমাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার সিঙ্গিমারি ইউনিয়নের ধুবনী এলাকায় থাকেন ভূমিহীন রহিমা বেগম। তিস্তা নদীর কোলঘেঁষে প্রতিবেশীর দেওয়া টিন আর পরিত্যক্ত পাটের লকড়ি দিয়ে তৈরি একটি ঘরে কোনোরকম মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।

ADVERTISEMENT

বিগত সরকার ভূমিহীনদের বসবাসের জন্য ঘর বরাদ্দ দিলেও বৃদ্ধা রহিমার কপালে কিছুই জোটেনি। এলাকার সবার ঘরে বিদ্যুতের বাতি জ্বললেও তার ঘরে জ্বলে পুরোনো কেরোসিন তেলের কুপি। একটু বাতাস হলেই নিভে যায় কুপির সেই আলো। বয়সের ভারে একা চলতে পারেন না তিনি। তাই তো একটি বাঁশের লাঠিতে ভর করে কোনো রকম চলাফেরা করেন।

বৃদ্ধা রহিমার প্রতিবেশী আম্বিয়া খাতুন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অসহায় এ মানুষটি বাড়ি বাড়ি চাল-ডাল সংগ্রহ করে দিনযাপন করছিলেন। পাড়া-প্রতিবেশীদের দেওয়া দু-মুঠো খাবারেই ক্ষুধা নিবারণ করেন।

আরেক প্রতিবেশী রেজাউল করিম বলেন, ‘বহু বছর থেকে নদীর পাড়ে একাই বসবাস করছেন রহিমা। একটু বাতাস হলেই ঝুঁকিতে পড়ে তার ঝুপড়ি ঘর। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেই পানির নিচে তলিয়ে যায় তার ঘর। প্রশাসন যদি রহিমা বেগমের পাশে দাঁড়ায় তাহলে শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারবেন।

বৃদ্ধা রহিমা বেগম বলেন, ‘মোর কেউ নাই। বয়স হইছে, চোখে দেখবার পাই না। মানুষ খাবার দেয় সেই খাবার খায়া থাকি, আবার কোনো দিন না খায়াও থাকি। সবারে বাড়িত কারেন্ট আছে মোরে বাড়িত নাই। রাইতোত (রাতে) অনেক কষ্টে হয়।

তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা হলে চাটির (বেড়া) ফাঁক দিয়া বাতাস ঢুকে তখন খুব ঠান্ডা নাগে (লাগে)। ফের বাইসশ্যার (বর্ষাকালে) সময় ঘরত তিস্তার পানি ওঠে। সবাই বলে সরকারি ঘর পায়, মোরে কপালত ঘর নাই। সরকার যদি মোক একটা ঘরের ব্যবস্থা করি দেইল হয়, তাইলে উপকার হইল হয়।

হাতীবান্ধা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দুলাল হোসেন বলেন, রহিমা বেগমের বিষয়টি দৈনিক কালবেলার মাধ্যমে জানতে পারি। খোঁজখবর নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

ইউসুফ আলী নাটোর প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত বাংলাদেশের পতিত …

মাসুম বিল্লাহ, আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রবিবার সিরিয়ার বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছে। বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক দখল করে আসাদকে দেশ ছাড়তে …

আনিসুর রহমান পলাশ, স্টাফ রিপোর্টারঃ সোহাগ শ্রোতাদের জন্য সুখবর! দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর সোহাগ শ্রোতাদের জন্য আগামী ১০ই ডিসেম্বর বিকাল তিন টায় ভয়েজ …

মোজাহের ইসমাইল নাঈম. ব্যুরো চীফ নোয়াখালী: এক সময়ের চিরযৌবনা,খরস্রোতা ও ব্যস্ততম সূর্যমুখী খাল এখন যৌবন হারিয়ে অস্তিত্ব সংকটে। যেখানে বছরের অধিকাংশ সময়ই …