মো:আছিফ মল্লিক
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
মধ্য মাঘে বৃষ্টির কারণে শীত বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮ টায় থেকে ঘন্টাব্যাপি বৃষ্টি শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তবে এ বৃষ্টি কৃষির জন্য আশীর্বাদ বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা।
আজ সকালে বৃষ্টি আর কনকনে হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির ছোঁয়ায় শীত জেঁকে বসেছে। মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় সকালে অনেকেই বাড়িঘর থেকে বের হয়ে কাকভেজা হয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।
বেতাগী সরকারি কলেজ এলাকার ওয়াপদা সড়কের পাশে বাসিন্দা সর্ত্তোদ্ধ মো. মজিবুর রহমান বলেন, সকালে হাঁটতে বেরিয়ে ছিলাম। বৃষ্টির আর কনকনে বাতাসের কারণে হাঁটতে না পেরে বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরতে হয়েছে।’
বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসন্ডা গ্রামের বাবুল বিশ্বাস বলেন, বৃষ্টিতে শীত আগের চেয়ে বেড়েছে। এছাড়া অনেক স্থানে রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে গেছে। আবার অনেক স্থানের রাস্তা কাদায় ও পানিতে একাকার হয়ে পড়ায় অনেক রাস্তায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালী গ্রামের কৃষক স্বপন মোল্লা বলেন, বৃষ্টি ও ঠাণ্ডার কারণে ফসলি মাঠে নেমে ইরি বোরো রোপণের কাজ করা খুবই মুশকিল হয়ে পড়েছে। অনেক কৃষক বৃষ্টির কারণে ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছেন।
কৃষিবিদদের মতে, বৃষ্টিতে মাঠে কৃষকদের মাঠের বোরো, মরিচ, কলাইয়ের ডাল , মসুর ডাল, গোল আলু, মিষ্টি আলু, সরিষাসহ সকল ধরণের রবি শষ্য ও শাকসবজি ফলন ভালো হবে। এই বৃষ্টি কৃষকের আর্শীবাদ বয়ে এনেছে।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের গবেষক অধ্যাপক ড. সন্তোষ চন্দ্র বসু বলেন,’ বৃষ্টিতে, বোরো ধানের বীজতলা, রবি শষ্য ও শাকসবজির নাইট্রোজেন, সালফার, পটাসিয়াম সারের চাহিদা পূরণ হবে। কিছু কিছু ক্ষতিকারক পোকা ধ্বংস হবে। ‘
বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানজিলা আক্তার বলেন, এ বৃষ্টি কৃষির জন্য আশীর্বাদ বয়ে এনেছে। সামগ্রিকভাবে এ সময়ের বৃষ্টিতে কৃষকদের উপকার হয়েছে। মাঠের সকল ধরণের রবি শষ্য ও শাকসবজি চাষে বৃষ্টিতে ফলন ভালো হবে।