
ভাঙ্গায় হত্যা মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় ১ জনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম
ফরিদপুর ভাঙ্গার প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের চরকান্দা গ্রামে হত্যা মামলায় সাক্ষী দেওয়ায় জালাল মোল্লা নামের (৩৮) এক সাক্ষী কে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ভুলু মোল্লার সহযোগী সম্রাট গংরা শুক্রবার ভোর রাতে এ কান্ড ঘটায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুই বছর আগে সেকেন মোল্লাকে ভুলু মোল্লা গংরা হত্যা করে বিলের মধ্যে কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রাখে। এক পর্যায়ে সেই হত্যাকাণ্ডে ভুলু মোল্লা তার ছেলে আদালতে ১৬৪ জবানবন্দীতে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে। ভুলু মোল্লা গংরা জামিনে এসে সাক্ষীদের একে একে হুমকি-ধুমকি দিয়ে চলছে। হুমকির পরে ভুলু মোল্লা গংদের বিরুদ্ধে সাক্ষী জালাল মোল্লা ভাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। সাধারণ ডায়েরি করেও জালাল মোল্লা বাঁচতে পারলেন না ওদের কবল থেকে।
জালাল মোল্লা চরকান্দা গ্রামের সাজেক মোল্লার ছেলে এবং ভুলু মোল্লা গংদের একই গ্রামে বাড়ি। শুক্রবার ভোররাতে একই গ্রামের শশুর ভুলমাজন মোল্লার পুকুরে মাছ ধরতে যায়। তখন সম্রাট মোল্লা গংরা ৮-১০ জন ওঁত পেতে থাকে পুকুর পাড়ে। এ সময় জালাল মোল্লা কে ধরে পুকুরের পাশে একটি মেহেরগনি বাগানে নিয়ে গরু কুপানের মত কুপিয়ে মৃত্যু ভেবে ফেলে রাখে। ভোর হয়ে গেলে স্থানীয়রা বাগানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ঘুংড়ানির শব্দ পেয়ে জালালকে শনাক্ত করেন। পরে তারা উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করেন অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকেও তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতাল এ প্রেরণ করা হয়। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম জানান, শুধু সাক্ষীই না, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বহুদিন ধরে দুই গ্রুপের মাঝে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। আজকে সকালে শেষের ধরে জালাল মোল্লাকে কুপিয়ে যখন করেছে। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।