

ভাঙ্গায় যুবককের পায়ের রগ কাটার প্রতিবাদে ইউনিয়ন বাসির মানববন্ধন
বিশেষ প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামে দুই যুবককে পুলিয়া বাজার থেকে নাস্তা খাবার অবস্থায় ওদের দোকান থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুমনের পেট্রোল পাম্পের পিছনে একটি মেহগনি বাগানে নিয়ে এরা ওদের মারধর করে এবং একপর্যায়ে ইমরানের বাম পায়ের রগ জোর করে কেটে দেয়।
পায়ের রগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে ও ওই ঘটনায় করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় পুলিয়া মহাসড়কে হাজার হাজার ইউনিয়ন বাসি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন আজিমনগর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ফারুক তালুকদার বলেন,সাবেক চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বর ও তার ভাই সাবেক ছাত্রনেতা মোখলেছুর রহমান সুমন, তারা এলাকায় বহু লোকের জমি অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লিখে নেয়। ঠিকমত টাকা পয়সা দেয় না। টাকা চাইতে গেলে বহু লোককে মোতালেব চেয়ারম্যানের হাতুড়ি বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে থাকে। এরা শত শত মানুষের জায়গা জমি দখল করেন। গত ৫ই মে মোখলেসের ১৫/১৬জন গুন্ডাবাহিনী দিয়ে পুলিয়া বাজার থেকে ইমরান তালুকদার ও শাওন ব্যাপারীকে গাড়িতে করে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে মোখলেসের ফিলিং স্টেশনে নিয়ে যায়।সেখানে ওদেরকে বেদম মারধর করে এবং ইমরানকে জমি না লিখে দেওয়ায় পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় ওদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছেন। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী গ্রামের ভুক্তভোগী শত শত পরিবার রাস্তায় নেমে আসে প্রতিবাদ জানাতে। তারা ভূমিদস্য,সন্ত্রাসী,হাতুড়ি বাহিনী মোতালেব চেয়ারম্যান ও তার ভাই সুমনের বিচার দাবিতে হাজার হাজার জনতা বিভিন্ন ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান করেন। এ সময় প্রায় ঘন্টাখানে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এই লোমহর্ষক ঘটনায় আমরা ইজাহারভুক্ত সাতজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তবে মূল হোতা সুমনকে গ্রেফতার করতে সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।