
মোঃ গিয়াস উদ্দিন লিটন: চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান
ভগ্নিপতির সাথে পরক্রিয়ায় বাদা দেওয়ায়,আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মিথ্যা অপবাদের
বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী ভাই মোঃ ইব্রাহিম খান।
২৭ জুন, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান হলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোঃ ইব্রাহীম খান বাপ্পি বলেন আমি আমার দুঃখ-কষ্ট-বেদনার কথাগুলো বলার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হই। যেকোনো মানুষই কষ্টে পড়লে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়, আমিও এমন একটা ভয়াবহ রকমের অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছি, যেটার প্রতিকার এবং বিষয়টা জাতির সামনে তুলে ধরাটা আমরা জরুরি মনে করছি। সেকারণেই আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলন।
আমি মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, আমার পিতা- মোঃ রফিক, মাতা- নার্গিস আকতার, আমার ঠিকানা- চট্টেশ্বরী রোড, কালী মন্দিরের সামনে আমার বাসা, সেখানে একটা ফ্ল্যাটে আমি থাকি, আমার বাবা থাকেন, আমার মা থাকেন, আমার স্ত্রী ও কন্যা সন্তান থাকেন এবং আমার ছোট বোন ও সেখানে থাকতেন। আমার তিনজন বোন আছেন। তাদের মধ্যে আমার সবচেয়ে ছোট বোন “তাহমিনা খান” আমার চেয়ে প্রায় ১১ বছরের ছোট, তাকে আমি কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি। তার যে নাম “তাহমিনা খান’ এটাও আমি রেখেছিলাম। সে ছোট থাকা অবস্থায় যখন কখনোও আমার মা অসুস্থ থাকতেন তখন আমি তার পায়খানা পর্যন্ত পরিষ্কার করেছি। তার কোনো ইচ্ছা অপূর্ণ রাখতাম না, সে কোনো জিনিসের বায়না ধরলে তা আমার বাবা-মা না দিলেও আমি তাকে দেওয়ার চেষ্টা করতাম। তাকে বোনের মতো নয়, বরং নিজের মেয়ের মতোই লালন পালন করেছি। এখন আমার সেই আদরের ছোট বোনের সাথেই একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে, যে সমস্যাটার বিষয়টাই আজকে আমি সাংবাদিক সম্মেলনে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।
আমার আপন ছোট বোন ‘তাহমিনা খান”, যে ইতিমধ্যে ফেসবুকে দুটি ভিডিও সম্প্রচার করেছে। এর মধ্যে একটি লাইভ ভিডিও, অন্যটি আপ্লোডেট ভিডিও। লাইভ ভিডিওতে সে এমন কিছু কথা বলেছেন, যেগুলো একজন ভাই হিসেবে শুধু নয়, একজন দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি যে, একজন মানুষের বেচে থাকার যে নৈতিক অধিকার, সে নৈতিক অধিকারটুকু পর্যন্ত আমার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে সরাসরি আমার ছোট বোন, আমার ছবি দেখিয়ে বলেছে যে, এই আমার ধর্ষক ইব্রাহিম খান বাপ্পী, এই ধর্ষকের বিচার চাই। এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য তাকে আইনের আওতায় আনা হোক এবং অনেক জায়গাতে তিনি লাইভে বলেছেন যে ‘আমার ভাই ‘ইব্রাহিম খান বাপ্পি’ আমাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে তাই আমি দেশের বাইরে চলে এসেছি। আরো বলেছেন, ও নিজের বউকেও মারে, আমি জানিনা আমার ভাবি কেন চুপ হয়ে আছে, আর কয়দিন চুপ থাকবে’। আরো বলেছেন, আমি এটা বুঝিনা ভাই কিভাবে নিজের বোনকে ধর্ষণ করতে পারে, আরো বলেছেন আমার ভাই ইব্রাহিম খান বাপ্পি’ ওর বউকে আলাদা রুমে রেখে রাতের বেলা আমার সাথে ছিল। আমি বুঝিনা একটা মানুষ কিভাবে এরকম করে। আরো বলেছেন, ‘আমি যদি দেশে পা রাখি, তাহলে আমাকে, আর আমার হাসবেন্ডকে মেরে ফেলবে’ এগুলো আমার ছোট বোন তাহমিনা খান বলেছেন। অর্থাৎ এমনভাবে আমার চরিত্রটাকে রূপায়িত করেছেন, যাতে মনে হয় আমি সমাজের একজন নিকৃষ্ট ব্যাক্তি।
ধর্ষণকারীর বিচার সবাই চায়, আমিও চাই। যদি কেও ধর্ষণ করে থাকে, সমাজে তার বিচার হবে এবং প্রকাশ্যে তার বিচার হওয়া উচিত। আইনের মাধ্যমে তো হওয়া উচিত, পাশাপাশি প্রকাশ্যেও বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে।
এই লাইভ ভিডিও প্রচারের পর থেকে আমার জীবনে একটা বিভীষিকাময় অধ্যায় তৈরি হয়েছে। আমার পরিবারের কাছে, আমার সামাজিক যে পরিচিতি আছে সেখানে, বিদেশে আমার যে পরিচিতি আছে সেখানে এবং ব্যবসায়িক মহলে আমার যে পরিচিতি আছে, প্রত্যেক জায়গায় আমাকে এমনভাবে ছোট করা হয়েছে যে আমি আর কোথাও মুখ দেখাতে পারছি না। আত্মহত্যা করে মরে যাওয়া ছাড়া আমি আমার কোনো পথ দেখি নাই যখন আমি লাইভ ভিডিওটা দেখেছি। যেখানে আমার আপন ছোট বোন যাকে আমি কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি, সে যখন আমাকে ধর্ষক উপাধি
দিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা সম্প্রচার করছে। এসব কথা যখন শুনেছি, তখন আমি নিজেকে মানুষ হিসেবে মনে হচ্ছে না, মনে হচ্ছে আমি যেন একটা পশু।
অথচ,আমি ‘মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান’, আমি মালয়েশিয়াতে ৫ বছর পড়াশোনা করেছি। সেখানে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য সাধারণত আপনারা জানেন যে মাষ্টার ডিগ্রী পাশ করার পরে, ভালো রেজাল্ট করার পরে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি নিতে হয়। আর আমিও মালয়েশিয়াতে একটা নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় যার নাম “লিমককউইং ইউনিভার্সিটি’ সেখান থেকে অনার্স শেষ করি এবং আমার Exceptional Result এর জন্য ‘Chancellor Award for Academic Excellence” অর্জন করি, আমার যে Academic Excellence রেজাল্ট ছিল, সেই রেজাল্টটা দেখেই বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আমাকে অনার্স পাশ করার পরেই স্পেশাল অফার দেয় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে যোগ দেয়ার জন্য এবং আমি সেখানে যোগদান করে অত্যন্ত সুনামের সাথে সেখানে শিক্ষকতা করেছি। বাংলাদেশের যে ছাত্র-ছাত্রীরা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করেছি এবং সেখানকার সমাজে আমার একটা অবস্থান আল্লাহর রহমতে তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে এসে আমি যখন আমার বাবার পারিবারিক ব্যবসাটা দেখাশোনা শুরু করেছি, তখন এসে এই চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি আমাকে হতে হোলো। আমার আপন বোন, আমার বিরুদ্ধে এই ধরণের অপপ্রচার করেছে।
এখন আপনাদেরকে একটু বলি এর পিছনে রহস্যটা কোথায়।আমার বড় বোনের সাথে ২০১১ সালে বিয়ে হয় “ইমরান আহাদ শাওন” নামে এক ব্যাক্তির। বিয়ের আগে সেই ব্যাক্তি প্রতারণা পূর্বক মিথ্যা ব্যবসায়, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। তার সাথে আমার বড় বোনের বিয়ের পর থেকেই মুলত আমাদের পরিবারে বিপর্যয় শুরু। এই ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু তথ্য বিয়ের পূর্বে আমরা জানতাম না, সে একজন সন্ত্রাসী এবং একটি গ্যাং এর লিডার, যেই গ্যাং এ বেশিরভাগই কিশোর বয়সের ছেলেরা অন্তর্ভুক্ত ছিল। যাদের মাধ্যমে সে নানা অপকর্ম করাতো। তার অনেকগুলো ভিডিও চিত্র রয়েছে, যেখানে দেখা যায় সে বিভিন্ন জনকে প্রকাশ্যে মারধর করছে, তাদের মোবাইল ছিনিয়ে নিচ্ছে, তাদেরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। এছাড়া পরবর্তীতে ‘ইমরান আহাদ শাওন কতৃক নির্যাতিত অনেক ভুক্তভেগী আমাদের সাথে দেখা করে তাদের সাথে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে, অনেক ভুক্তভেগী থেকে সে চেক দিয়ে টাকা ধার নিয়েছে কিন্তু সেই টাকা সে পরিশোধ কখনোই করেনি। সে বিভিন্ন সময় আমার বড় বোনকে ব্যবহার করে আমার বাবাকে ইমোশনালী ব্ল্যাকমেইল করিয়ে তার বিভিন্ন ব্যবসায়, চিকিৎসা এবং তার পরিবারের নানা প্রয়োজনে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। আমার বাবার কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেই সে ক্ষান্ত হয়নি, সে অনেকের কাছ থেকেই টাকা আত্মসাৎ করে নিজেও ধ্বংস হয়েছে, আমাদের পরিবারটাকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। তার কারণে আমার পরিবার অনেক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়। অনেক ভুক্তভেগী বলেছে যে, সে তাদেরকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারতো, অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখাত, তার কথা না মানলে মিথ্যা মামলার ভয় পর্যন্ত দেখাতো। তাদের সম্পদ জোর করে দখল নিত। সে মদ ও অন্যান্য নেশায় বুদ হয়ে থাকত। তার বিরুদ্ধে ভয়ে কোনো ভুক্তভোগী মামলা করার সাহস পর্যন্ত দেখায়নি। এসকল কথা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানার পর আমাদের পায়ের নিচে মাটি সরে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। অবশ্যই আমার বড় বোনের বিয়ে হওয়ার আগে তার এই চরিত্র সম্পর্কে আমরা অবগত ছিলাম না। এই সকল বিষয় জানার পর আমার বাবা এক পর্যায়ে তাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা বন্ধ করে দেয়, তার দুই নাতির মুখের দিকে তাকিয়ে সে তার বড় মেয়ের সংসার ভাঙতে চাননি। আমার বাবা থেকে অর্থের কোনো যোগান না পেয়ে এক পর্যায়ে সে আমার বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং আমার বাবা তথা আমার পুরো পরিবারকে ধ্বংস করার ছক কষতে থাকে।
বিয়ে হওয়ার পর থেকেই সে বিভিন্ন সময় আমাদের ঘরে আসা যাওয়া করত, আমার বড় বোনের হাজবেন্ড হিসেবে আমরা তাকে কিছু করতে পারতাম না, তাই তাকে আশ্রয় দিতাম। আমার বড় বোন মাসের পর মাস আমাদের বাসায় থাকার সুবাদে দেখা যেতো প্রায়ই সে আমাদের বাসায় এসে থাকত। এই সুবাদে সে আমার বড় বোনের সাথে সম্পর্কের পাশাপাশি আমার ছোট বোনের সাথেও আস্তে আস্তে সম্পর্ক তৈরি করে। যেটা আমরা পারিবারিকভাবে জানতাম না। আমি ও আমার বাবা দুজনেই ব্যবসায়িক কাজে সবসময় ব্যস্ত থাকতাম। ঘরে থাকত আমার মা (যিনি একজন স্লিপ ডিসঅর্ডারের রোগী যে দিনের বেশিরভাগ সময়ই অসুস্থতার কারনে ঘুম থাকত, আর থাকত আমার স্ত্রী, যে আমার নতুন বাচ্চাকে কে নিয়ে ব্যস্ত থাকত, আর থাকত আমার ছোট বোন এবং আমার বড় বোন যাকে আমরা বিয়ে দিয়েছি। আমাদের অগোচরে অর্থাৎ আমরা যখন অফিসে থাকতাম তখন সে আমাদের ঘরে আসত, সে আমার বড় বোনের পাশাপাশি, আমার ছোট বোনের সাথে বিভিন্নভাবে মেলামেশা করত, যেটা আমরা জানতাম না। পরবর্তীতে, আমরা জানতে পারলাম যে, আমার ছোট বোনের সাথে সে বিভিন্নভাবে একই রুমে কথা বলে, মেলামেশা করে, বিভিন্ন অস্থির অঙ্গভঙ্গিতে ও বিভিন্ন অশালীন পোশাকে তাদেরকে দেখা যায় এবং তার সাথে আমার ছোটবোনের একটি পরকীয়ার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা অনেকদিন ধরেই চলছিল যেটা আমরা যানতাম না। পরিবার থেকে আমরা এটা জানার পরে আমরা ছোট বোনকে বিভিন্নভাবে বড়ভাই হিসেবে সাবধান করার চেষ্টা করেছি, বলেছি যে বোন তুমি ধর্মীয় আচার আচরণ মেনে চলো, পুরো পরিবারটা ধর্মীয় পরিবার, ধর্মীয় আচার আচরণে তুমি অভ্যস্ত হও এবং পর্দা প্রথাটা মেনে চলো, শোভন পোশাক পরিধান করো, বাইরের যে কোনো ব্যাক্তি আসলে তার সামনে শোভন পোশাক পরিধান করে চলো। এই হচ্ছে আমার সাথে আমার বোনের কথপোকথন। অন্যদিকে আমার বাবা আমার বড় বোনের হাজবেন্ডকে আমাদের বাসায় আসতে বারণ করে দেয়।
এরপর, ০৪/০৪/২৪ ইং তারিখে হঠাৎ করে আমার এই ছোট বোন ‘তাহমিনা খান’ আমাদের ঘর থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বের হয়ে যায়। এর পর থেকে তার আর কোনো হদিস পাচ্ছিলাম না। আমরা এই ঘটনার বিষয়ে ০৪/০৪/২৪ ইং তারিখে চকবাজার থানায় একটা জিডি করি, জিডি নম্বর- ২৩৯ এবং পরবর্তীতে আমার বড়বোনের কাছ থেকে জানতে পারি যে, তার হাসবেন্ড আমার ছোট বোনকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। এই বিষয়টি জানার পর আমার বড়বোনের হাসবেন্ড এর বিরুদ্ধে চকবাজার থানায় গিয়ে একটা মামলা নং ৭(৪)২৪ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে আমাদের বাসার বাইরে যে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে সেই সিসিটিভি ক্যামেরা দেখি যে, ঘর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে তারা পালিয়ে গেছে। এরপরে দুবাই থেকে আমার ছোট বোন ফেসবুক লাইভে আসে, লাইভে এসে সে তখন বলে যে, ‘আমি নাকি তার ধর্ষণকারী, আমি নাকি তাকে বিভিন্নসময় বিভিন্নভাবে নাজেহাল করেছি এবং ধর্ষণ করেছি। অথচ আমার এই ছোট বোন মাত্র কলেজ থেকে ইন্টার পাশ করেছে। নভেম্বরের ২৬ তারিখ তার এইচ এস সি রেজাল্ট দিয়েছে। সে বলেছে আমি নাকি তাকে মেডিকেলে ভর্তি করায়নি, অথচ মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যে পয়েন্ট দরকার সেটা তার নাই এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য সময়টাও তখন তার হয়নি। সে তার ফেসবুক লাইভে এসে যেসব কথা বলেছে তার প্রত্যেকটা কথার প্রমাণসহ জবাব আমাদের কাছে আছে। সেগুলোর বিষয়ে আমরা যেতে চাইনা।
পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যে, আমার বড়বোনের হাসবেন্ড শাওন ও আমার ছোট বোন তাহমিনা খান ১৩/০৩/২০২৪ ইং তারিখে বিয়ে করে এবং এতে সাক্ষী হয় আমার মেজো বোন তানজিলা খান, যা আমাদের কাছে প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ডকুমেন্টেড প্রমাণ পেয়ে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছি। আমার বড় বোনের দুজন পুত্রসন্তান আছে,একজন ১২ বছর বয়সী এবং অন্যজন আড়াই বছরের। আমার বড় বোনের ভাষ্যমতে, আমার বড় বোন ও তার হাসবেন্ডের মধ্যে তালাক হয়নি। অর্থাৎ, তাদের বিয়ে এখনো বলবৎ আছে। এই ঘটনায় তার অনেক কার্যকলাপই প্রশ্নবিদ্ধ। তার ভাষ্য কতটুকু সত্য তা আমাদের জানা নেই, হয়ত একদিন আপনারা দেখবেন যে তাদের তালাকনামা ও প্রকাশিত হয়ে যাবে। দেশের আইন অনুযায়ী ও শারীয়াহ অনুযায়ী তারা যে কাজটি করেছে তা অবশ্যই আইন ও শারীয়াহর লঙ্ঘন। ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এ এক নজির দৃষ্টান্ত। তারা এ কাজটি করার আগে তার আড়াই বছরের বাচ্চার ভবিষ্যতটাও চিন্তা করেনি। তারা শুধু এ কাজ করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমার ছোট বোন ডবলমুরিং থানায় ১৩/০২/২৪ ইং তারিখে পাসপোর্ট হারানোর মিথ্যা জি ডি নং – ৭৮১ করে এবং ভুয়া বৈবাহিক ডকুমেন্ট দিয়ে ১৪/০২/২৪ তারিখে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে। যেখানে সে নিজেকে বিবাহিত দেখায়। অথচ তাদের বিয়ে হয় ১৩/০৩/২০২৪ ইং তারিখে।
আমার বড়বোনের হাসবেন্ড শাওন তার আঁকা ছক অনুযায়ী আমার পুরো পরিবারকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। একজন মানুষ কতটুকু নিচে নামতে পারে তার ক্ষোভ প্রকাশ করার জন্য তা এই ঘটনা না ঘটলে বিশ্বাস করতে পারতাম না। একজন আদরের ছোট বোন কিভাবে একজন দুস্কৃতিকর মানুষের পাল্লায় পড়ে তার পিতৃতুল্য বড় ভাইকে পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম অপবাদ ধর্ষনের অপবাদ দিতে পারে তার নজির হয়তো ইতিহাসে বিরল।
আপনারা সবাই সমাজের দর্পণ, আপনারা সবাই সবকিছু জানেন। প্রকৃত বিষয় হচ্ছে যে, একটি পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তান হিসেবে আমি মানসিকভাবে চরম যাতনার মধ্যে আছি। আমার আপন ছোট বোন যখন আমার চরিত্রে এই ধরণের কালিমা লেপন করে, আমার পরিবারকে সমাজের কাছে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে পুরো পরিবারকে ধ্বংসের দোরগোড়ায় নিয়ে যায় তখন একজন সন্তান হিসেবে, আমার যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই। এই ঘটনার পর আমি এবং আমার পরিবার দারুণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। ইতোপূর্বেই আমার বড়বোনের হাসবেন্ড শাওন এর কীর্তিকলাপ সম্পর্কে আশা করি আপনারা অবগত হয়েছেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, আমার বড়বোনের হাসবেন্ড শাওন আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বা আমাকে এবং আমার পরিবারকে সমাজে চরম অপমান করেই ক্ষান্ত হবে না, সে অবশ্যই যে কোনো উপায়ে আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি করে আমাদেরকে সর্বস্বান্ত করবেই। বর্তমানে আমার ছোট বোনকে ঢাল বানিয়ে সে আমার ও আমার পরিবারের মানহানি করছে, সে যদি এতে ব্যর্থ হয় তাহলে না যানি আর কোন কোন পন্থা অবলম্বন করে আমার ও আমার পরিবারের ক্ষতি সাধন করে আমাদেরকে সর্বস্বান্ত করে।
আমি আদালতের আশ্রয় নিয়েছি এবং সর্বশেষ আপনাদের কাছে এসেছি,
আপনারা দয়া করে এই বিষয়টা জাতির সামনে তুলে ধরে এইযে আমার ছোট বোন বিপথে চলে গেছে এবং সে যে এভাবে করে একজন দুশ্চরিত্র ও লোভী মানুষের পাল্লায় পড়ে পুরো পরিবারটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সে বিষয়ে পত্র পত্রিকায় লেখনি ও প্রচারের মাধ্যমে সমাজকে সচেতন করার পাশাপাশি, একটা ধ্বংস হয়ে যাওয়া পরিবারকে রক্ষা করার জন্য এবং পরিবারটির সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য, অভিযুক্তদের যাতে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা যায়, তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও সহযোগিতা কামনা করছি এবং আপনাদের সচেতন কলম দিয়ে বিষয়টি লিপিবদ্ধ করার আহবান জানাচ্ছি।
এবং সঠিক তথ্য উদঘাটন করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশসহ প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী মোঃ ইব্রাহিম খান বাপ্পি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা, মা ও নিকট আত্মীয়-স্বজন
সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।