

শফিকুল ইসলাম শরীফ স্টাফ রিপোর্টার
একমাত্র ভরসার বাঁশের সেতু ভেঙে জনদূর্ভোগ চরমে!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের ৯ নং ওয়াড ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দাদের বুধন্তি নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা ফতেহপুর বাঁশের সেতুটি হঠাৎ ভেঙে যাওয়ায় নদী পারাপারে গ্রামবাসী পড়েছে চরম দূর্ভোগে ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,গত ৭ আগষ্ট টানা বৃষ্টিতে এবং অবৈধ ড্রেজারের ধাক্কায় বাঁশের সেতুটির দক্ষিণ পাশের একাংশ ভেঙে পড়ে যায়। এতে করে ফতেহপুর গ্রাম থেকে হাটবাজার,চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলা সদরে যাওয়া হাজার হাজার জনগন ভোগান্তিতে পড়েছে। প্রতিবছর গ্রাম বাসী নিজেদের মধ্যে থেকে ৪/৫ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে সেতুটি নির্মাণ করে,এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২ মাস পূর্বে সকলের সমন্বয়ে সেতুটি মেরামত করা হয়। হঠাৎ করে সেতুটি ভেঙে পড়ায় নতুন করে মেরামত করতে হিমশিম খাচ্ছে গ্রামবাসী।নিরুপায় হয়ে গ্রামবাসী আপাতত চলাচলের জন্য কয়েকটি বাঁশ ফেলে চলাচল ব্যবস্থা করে দিলেও বয়স্ক,শিশু,অসুস্থ রোগীদের চলাচলের ব্যঘাত ঘটছে,এমনকি পারাপার হতে গিয়ে জাহেদ হোসে(৫৫),জামাল(৫৫),সাত্তার(৬০),২ বছরের শিশু সহ আমেনা খাতুন নদীতে পড়ে আহত হয়।
এবিষয়ে বাঁশের সেতু থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া সাত্তার মিয়া জানান,নবীনগর থেকে বাজার করে সেতু দিয়ে আসার সময় হঠাৎ বাঁশ ভেঙে আমরা তিনজন নিচে নদীর পানিতে পড়ে যায়,সেতুটি দ্রুত মেরামত করা জরুরি ।
এবিষয়ে নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়াড মেম্বার সফর মিয়া জানান,আমরা গ্রামবাসী নিজেদের মধ্য থেকে কিছু টাকা চাঁদা তুলেছি বাঁশের সেতুটি মেরামত করতে,এখানে একটি ব্রীজ জরুরি দরকার। আমি আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব দ্রুত একটি ব্রীজ করে দূর্ঘটনার কবল থেকে আমার ওয়াড বাসীকে বাঁচানোর জন্য।
পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম নুরুজ্জামান মুঠোফোন বলেন আমি এই সেতুর ব্যাপারে অবগত আছি গ্রামবাসীকে সকল প্রকার সহযোগিতার জন্য আমি প্রস্তুত আছি বলে আশ্বাস দেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম দৈনিক সরেজমিনকে জানান
বাঁশের সেতুটির বিষয় আমরা অবগত আছি
জনদূর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সংস্কারের কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।