
মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর গুলশান-১ ডিএনসিসি মার্কেট ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক হৃদয় কারাগারে।
একজন ব্যবসায়ীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ডিএনসিস কাঁচা ও পাকা মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দোকানের বিভিন্ন পণ্য পাইকারি দরে সরবরাহের কথা বলে অগ্রিম টাকা সংগ্রহ করতো একই মার্কেটের দোকানদার হৃদয়।
অনেক সময় প্রত্যাশিত পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করে ব্যবসায়ীদের কাছে অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠে সে। এভাবে বেশ কিছু দিন ব্যবসায়ীদের সাথে তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে।
গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ হতে বিভিন্ন সময়ে নানা রকম কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ সংগ্রহ করে ।পরবর্তীতে পণ্য না দিয়ে গড়িমসি ও গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছিলো ব্যবসায়ী রুপি অর্থ আত্মসাৎকারী ব্যক্তি ।
সূত্র জানায় ইব্রাহিম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডলার সংকটের অজুহাত দেখিয়ে বিদেশি প্রসাধণী ডায়পার, শিশু খাদ্য দুধ ও চাহিদা সম্পন্ন অন্যান্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধির তকমা লাগিয়ে তা সূলভ মূল্যে প্রদানের কথা বলে প্রায় ৫৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে যায় দূরন্দর প্রতারণাকারী ব্যক্তি।
উক্ত ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে
অর্থ হাতিয়ে নেওয়া দোকানি তার দোকানের মালামাল কর্মচারীর মাধ্যমে কম মূল্যে বিক্রি করে দোকান বন্ধের পাঁয়তারা করছে।পরে বিষয়টি অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে জানা জানি হলে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা আস্তে আস্তে বেরিয়ে এলে এর মধ্যে একজন ব্যবসায়ী গুলশান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পর থেকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের চাপে পড়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় প্রতারণার উদ্দেশ্যে অর্থ হাতানো ব্যক্তি।
অপর এক ভুক্তভোগী বলছে, আমার ভাই বিদেশি পণ সামগ্রী আমদানীকারক এবং আমি তার সমস্ত পণ্য বিভিন্ন দোকানে পাইকারি দরে সরবরাহের কাজ করে থাকি। তার মধ্যে হৃদয় নামে ব্যক্তির দোকানে এমন পণ্য সামগ্রী দেওয়া হতো সেই সুবাদে তার সাথে আমার লেনদেন হয় এবং একসময়ে ভালো ব্যবসায়ী সম্পর্ক তৈরি হয়।
গত ২ অক্টোবর ২২ সালে তাঁর ব্যবসার মূলধন ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে আমার নিকট ৩০ লক্ষ্য টাকা লভ্যাংশে নেওয়ার প্রস্তাব করে পূর্ব সম্পর্কের উপর নির্ভর করে ব্যবসায় সহায়তার কথা চিন্তা করে তাকে ২২ লক্ষ টাকা প্রদান করি । অর্থ প্রাপ্তির পর ব্যবসা ভালো চলছিলো কয়েক মাস লভ্যাংশ ঠিক মতো প্রদান করে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার কয়েক মাস পর থেকে লভ্যাংশ প্রদান নিয়ে নানা রকম তালবাহানা শুরু করে।
মূল টাকা ফেরত চাইলে কৌশল অবলম্বন করে কালক্ষেপণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করে।
তার আচরণ ও হুমকি প্রদানের কর্মকাণ্ডে দেখে মনে হলো উক্ত হৃদয় আমার সাথে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা করছে তাই এ বিষয়ে বাড্ডা থানার সহযোগিতা নিতে তাদের স্বরণাপন্ন হলে তাঁরা প্রতারককে ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায়।
গত ২৬ আগস্ট ২৩ ইং তারিখ পাবনা থেকে বাড্ডা থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে ধৃত করে ।তার আটক সংবাদ পেয়ে ডিএনসিসি মার্কেটের প্রায় অর্ধশত ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা থানায় জড়ো হয় ।যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাবে আটক প্রতারক অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সর্বস্বান্ত করেছে।
থানায় জড়ো হওয়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জসিম নামে একজন ব্যবসায়ী বাদি হলে বাড্ডা থানায় একটি মামলা রুজু করা হয় যাহার মামলা নং ৫৭ তাং ২৪/৮/২৩ ইং। উক্ত মামলায় প্রতারক মোঃ হৃদয় মিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।