
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষকরা ————————
রিপোর্টার
মোঃ শহিদুল ইসলাম :
আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ অবস্থান কর্মসূচির ৩য় দিন রোজ- মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাব এর সামনে বাংলাদেশ বেসরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি-এর উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৭/০৫/২০১২ইং তারিখের পূর্বে স্থাপন ও চালুর জন্য আবেদিত অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ বাস্তবায়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। আজকের অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ বদরুল আমিন সরকার (ফরহাদ) সভাপতি, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও পরিচালনায়- মো: ফরিদুল ইসলাম, মহাসচিব, বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ বিভাগ ও জেলা সমূহের শিক্ষক নেতা ও নেত্রী সহ অন্যান্য শিক্ষক/ শিক্ষিকারা।
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে
প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে ০১/০৭/১৯৭৩ খ্রি. তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় প্রথমত ৩২ হাজার এবং পরবর্তীতে বাদ পড়া আরো ৪৩২৩টি
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে দেশকে প্রাথমিক শিক্ষার অভিশাপ থেকে মুক্ত করেন। দীর্ঘ ৪০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর তার উত্তরসূরী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হাতে নিয়েছেন তখনই ০৯/০১/২০১৩ খ্রি. তারিখে এক ঐতিহাসিক ঘোষণায় ২৬১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদেরকে জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়ে জাতির পিতার মত আরো একটি ইতিহাস রচনা করেন। তিনি আরো বলেন অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় জাতীয়করণকালীন যে, পরিসংখ্যান করা হয়েছিল তা সঠিক না হওয়ায় আরো জাতীয়করণযোগ্য উপজেলা, জেলা হতে যাচাই-বাছাইকৃত ও ২৭/০৫/২০১২ ইং তারিখের পূর্বে আবেদিত সকল বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি। তিনি আরো বলেন আমরা বিশ্বাস করি ঐ সকল বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি জাতীয়করণ করে বেসরকারি শিক্ষক নামক অভিশাপ থেকে আমাদেরকে মুক্ত করা হোক।
মহাসচিব, মো: ফরিদুল ইসলাম বলেন শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর আমরা আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি আমাদের মমতাময়ী মা আমরা তার সন্তান সমতুল্য তিনি আমাদেরকে রাস্তায় রাখবেন না তিনি আমাদেরকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যা যা করণীয় তা করবেন। তিনি আরো বলেন
ইতিপূর্বে আমরা জাতীয়করণের জন্য ২০১৮ সালে ১৮ দিন ও ২০১৯ সালে ৫৬ দিন ও ২০২১ সালে ৭ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করছি। তখনকার সময় আকরাম আল হোসাইন অতিরিক্ত সচিব মহোদয় সহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি দল এসে আমাদেরকে জাতীয়করণের আশ্বাস দিলেও বয়ান হয়নি। তিনি আরো বলেন এই মুহূর্তে অবশিষ্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আসলে দেশের লক্ষ লক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাঠদান ও সে সঙ্গে বেকারত্ব দূর হবে। সংগঠনের মহাসচিব বলেন যে ২০ জানুয়ারি ২০১৩ ইং সালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমাদের বিদ্যালয় সমূহ সরকারিকরণ প্রাপ্য। এটা আমাদের ন্যায্য দাবি আমাদের দাবির সাথে আমাদের সরকার একাত্বতা পোষণ করবেন বলে আমরা আশা করি । তিনি আরো বলেন আমরা যথাযথ শর্ত পূরণ পূর্বক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিয়া আসতেছি। ইতিমধ্যে অনেক বিদ্যালয় মন্ত্রণালয় কর্তৃক যাচাই-বাছাইও করা হয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন যাবত বেতনবিহীন মানবেতর জীবনযাপন করিতেছি।
মোখলেসুর রহমান মানিক নামে এক শিক্ষক নেতা বলেন যে, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের মাধ্যমে সকল বঞ্চিত শিক্ষকদের নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে আনন্দ মুখর কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই। তিনি আরো বলেন শিক্ষাবান্ধব সরকার বাবার দরকার, এই স্লোগান নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি মিডিয়াকর্মীদের বলেন আপনারা সমাজও জাতির বিবেক তাই আমি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে তথা সারা বাংলাদেশের অবহেলিত বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক /শিক্ষিকার পক্ষ থেকে বিশেষভাবে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি আপনাদের প্রচার এর মাধ্যমে আমাদের বিষয়টা তুলে ধরুন যাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে আসে। এতে হয়তো আমরা এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতে পারি। শিক্ষকদের এই অবস্থান কর্মসূচিতে একত্বতা ঘোষণা করেন মুক্তিযোদ্ধা মন্চ।