
চট্টগ্রাম ব্যুরো- চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২০ জন দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছে স্বেচ্ছাসেবী ও দাতব্য সংস্থা বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কনফারেন্স কক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের মোট ১২০ জন শিক্ষার্থীকে এককালীন সহায়তা হিসেবে প্রতিজনকে নগদ চার হাজার টাকা ও এক হাজার টাকার শিক্ষা উপকরণ সহ সর্বমোট ৬লাখ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়।
বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবক ও ময়মনসিংহ ক্যাডেট কলেজের শিক্ষক নাজমুল হোসেন জুন্নুনের সঞ্চালনায় এবং বোর্ড সদস্য মো. জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শিরিন আখতার, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর বেনু কুমার দে। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকমণ্ডলী,রেজিস্ট্রার,বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যাকাত বোর্ডের মেম্বার ড.মোরশেদুল হক,ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুখ আহমেদ সহ অনেকেই।
উপাচার্য ড. শিরিন আখতার বলেন “বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কিশোর কুমার দাশ যে অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেন সেটি আমাদের সবার জন্য অনুকরণীয়। তার গড়া ফাউন্ডেশন যেভাবে সমাজের সেবা করে যাচ্ছে সেখান থেকেও আমাদের অনেক কিছুর শেখার আছে। তিনি সব শিক্ষার্থীদের কিশোর কুমারের জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজের সেবা করার আহবান জানান”
উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে বলেন “আজ বিদ্যানন্দ যেভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তেমনি করে শিক্ষার্থীরাও দেশ গঠনে একে অপরের পাশে দাঁড়াবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের অগ্রযাত্রায় শুভকামনা জানান।
শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি বছর বিদ্যানন্দ শিক্ষা বৃত্তি প্রোগ্রাম করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে সারা দেশ ব্যাপী কয়েক হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি দেওয়া হয়েছে ও এই ধারা জেলা থেকে উপজেলায় অব্যাহত আছে।
দেশ বিদেশে ভিন্নতর ও অভিনব সব আইডিয়া নিয়ে সেবামূলক কাজ করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে বিদ্যানন্দ। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে কেউ যখন ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা তখন জীবন বাজি রেখে করোনা মহামারী মোকাবেলায় সম্মুখসমরে যুদ্ধ করে সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করে নেয় এই প্রতিষ্ঠান। সমাজসেবায় তাদের অসামান্য সব অবদানের জন্য ২০২৩ সালে সরকার তাদের একুশে পদকে ভূষিত করে। এছাড়াও ২০২২ সালে সমাজকল্যান মন্ত্রনালয় কতৃক জাতীয় মানবকল্যান পদক ও ২০২১ সালে বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কতৃক “কমনওয়েলথ পয়েন্টস অফ লাইট” পদকে ভূষিত হয় এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।