সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বান্দরবানের সচেতন ছাত্র সমাজ। ৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠনে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার সাথে চরম বৈষম্য ও ছাত্র বিছিন্ন প্রতিনিধি মনোনয়নের প্রতিবাদে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি জনসংখ্যায় বান্দরবান জেলার অন্যতম বৃহত্তর উপজেলা। ২০২২ সালের জনশুমারী অনুসারে লামায় ১,৩৯,৬৮১ জন ও নাইক্ষ্যংছড়িতে ৭৬,৪৭৫ জন বাসিন্দা রয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় বিগত ৭ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে অন্তর্বতীকালীন জেলা পরিষদ গঠিত হলে মাত্র ২৯,৭৯০ জন বাসিন্দার জন্য ৩ জন সদস্য এবং বান্দরবান সদরে ১,১১,০৯৬ জন বাসিন্দার জন্য ০৯ জন প্রতিনিধি মনোনয়ন করা হলেও লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ২,১৬,১৫৬ জন বাসিন্দার জন্য কোন প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এটি লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির জনগণের সাথে চরম বৈষম্য। জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত বান্দরবানে শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু হতবাক করা বিষয় হলো বিগত ০৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে অন্তর্বতীকালীন জেলা পরিষদ গঠিত হলে আলোচনা বিহীন ও বান্দরবানের সাধারণ ছাত্র বিচ্ছিন্ন একজনকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোয়ন দেয়া হয়। দুঃখের বিষয় হলো বান্দরবানে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে সাধারণ ছাত্রদের মত বিনিময় সভা হলেও ছাত্র বিচ্ছিন্ন একজন প্রতিনিধিকে ব্যক্তিগত পছন্দের কারনে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয় যা বান্দরবানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একধরনের প্রতারণার শামিল। বর্তমানে অন্তর্বতীকালীন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন মনোনীত সদস্যদের তালিকা বিলুপ্ত করে জনসংখ্যা অনুপাতে ও সকল উপজেলার প্রতিনিধিত্বমূলক সদস্য নিয়োগ দিতে হবে অথবা লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির জন্য জেলা পরিষদ সদস্য নিয়োগ এবং ছাত্রদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। ফ্যাসীবাদের মতো বৈষম্য বর্তমানেও বিরাজমান থাকুক এটা কারোর কাম্য হতে পারে না।