নাইক্ষ্যংছড়ি( বান্দরবান) প্রতিনিধি,
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে গহীন পাহাড়ে গুলি বৃদ্ধ এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাইশারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের গহীন পাহাড়ে ৬ নং রাবার প্লট নামক স্থানে।
গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম শহিদুল ইসলাম প্রকাশ শহিদুল্লাহ (২৮)।
সে, বাইশারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড করলিয়া মুরা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র। সে পেশায় দিন মজুর বলে মৃত যুবকের চাচা মোঃ আলম জানান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, প্রতিদিনের ন্যায় রাবার বাগানের শ্রমিকেরা ২২ অক্টোবর রবিবার ভোরবেলা রাবারের কষ সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় ৬ নং রাবার বাগানের মাঝখানে পাহাড়ের চলাচল পথে লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে তারা বাগানের সুপার ভাইজার হিরোকে জানালে ঘটনাটি তিনি নাজমা খাতুন রাবার বাগানের ব্যস্থাপক আল আমিন কে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন।
তিনি বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহাকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাব ইনস্পেক্টর নুরুল্লাহ ভূইয়াকে ঘটনাস্থলে প্ররন করেন। বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই নুরুল্লাহ ভূইয়া জানান তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করেছেন। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে তার শরীরের আঘাত ও দেশীয় তৈরী অস্ত্রের গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে মেডিকেল রিপোর্টে সব কিছু জানা যাবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান।
নিহত যুবকের চাচা শাহাবুদ্দিন জানান রাত ৯ টায় পর্যন্ত সে এলাকাতে ছিল। হয়ত গভীর রাতে তাকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদক সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাইশারী ইউনিয়নের গহীন পাহড়ে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে শত শত মানুষ ভীড় জমায়। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত সহ গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি এবং মামলা ও হয়নি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের চাচা বাদী হয়ে মামলা করবেন ও দোষীদের সাস্তি দাবী করছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার পুর্বক ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত পুর্বক দোষীদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো মামলা হয়নি তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।