মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন বেরাইদ এলাকায় গলায় ফাঁস দেওয়া পিতা-পুত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত আনুমানিক ৯:১৫ ঘটিকার সময় বেরাঈদ জেলেপাড়া এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পিতা-পুত্রের মধ্যে প্রায়ই ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে মনমালিন্যের কারণে বিবাদে জড়িয়ে পড়তো। ধারণা করা হচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় তারা উভয়ে রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা যায় আত্নহত্যা করা গিয়াস উদ্দিন (৭০) ও রাকিব হোসেন (৩০)বেরাঈদ জেলেপাড়া মুবাক্কার এর বাসার নিচতলার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতো। তাদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানা এলাকায়।
আত্মহত্যা করা গিয়াস উদ্দিন পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ছিলেন অপরজন তার নিজ ছেলে সে পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ভিকটিমের যাওয়ার কথা থাকায় অনুষ্ঠান না পেয়ে তার সহপাঠী জনৈক হারুন তাকে খুঁজতে ঘটনাস্থলের বাসায় যায়।বাসার দরজা বন্ধ দেখে উক্ত হারুন ও তার অন্যান্য সহপাঠীরা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পিতা-পুত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রাসহ বাড্ডা থানা পুলিশকে সংবাদ প্রদান করলে পুলিশ অনুমানিক ৯:৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়,১ নং ভিকটিম এর স্ত্রী প্রায় ২ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করলে পিতা-পুত্র ঘটনাস্থলের কক্ষে বসবাস করতো। তারা প্রায় ১২ বছর যাবত উক্ত বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, পিতা-পুত্র উভয়ে প্রায়ই ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়তো। ধারণা করা হচ্ছে, এরই ধারাবাহিকতায় তারা উভয়ে রাগ ও ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত ভিকটিমদ্বয়ের কোন নিকট আত্মীয় স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।এ বিষয়ে বাড্ডা থানায় আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।
সরে/আর/এইচ